রবিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ার নন্দীগ্রামে ওমরপুর পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। মানা হচ্ছে না সরকারি নিয়ম-নীতি। উপজেলা প্রশাসনের তদারকি না থাকায় পৌরসভার ওমরপুরে সাপ্তাহিক এই হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ইজারাদারের লোকজন। পশু বহনে ব্যবহৃত যানবাহন থেকেও নেওয়া হচ্ছে চাঁদা।

গত শুক্রবার ছামিউল ইসলাম নামে এক ক্রেতা ৭৫ হাজার টাকায় একটি গরু কিনেছেন। তার কাছ থেকে হাসিল আদায় করা হয়েছে ৬০০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে নিয়েছে ১০০। অথচ রসিদে গরুর মূল্য উল্লেখ থাকলেও হাসিল আদায়ের টাকার পরিমাণ উল্লেখ নেই। ক্রেতারা পশু কিনে হাট থেকে বের হওয়ার আগেই রসিদ অর্ধেক কেটে রেখে দেন ইজারাদারের লোকজন। তিনজন আদায়কারী অনিয়ম স্বীকার করে বলেন, সরকার নির্ধারিত হাসিল ৩০০ এবং ৪০০ টাকা। ইজারাদারের কথামতো তারা নিচ্ছেন ৭০০। অতিরিক্ত টাকা ইজারাদার, আদায়কারী, প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করতে ব্যয় করা হয় বলে দাবি করেন তারা। নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রেস ক্লাবের দফতর সম্পাদক নজরুল ইসলাম জানান, ওমরপুর পশুরহাটে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের খবর পেয়ে কয়েকজন সাংবাদিকসহ তিনি সেখানে যান। হাটে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের প্রমাণ মেলে। ভিডিও নেওয়ার সময় ইজারাদারের লোকজন সাংবাদিকদের হাত ধরে টানাটানি করে। ফেরার পথে হাটের মধ্যেই ইজারাদারের ঘরের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ আচারণ করেন কয়েকজন। অতিরিক্ত টাকা আদায় বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, সব হাটে অতিরিক্ত ইজারা আদায় করা হচ্ছে। কোথাও সরকারি নিয়ম-নীতি মানা হচ্ছে না। জনগণের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। নন্দীগ্রাম থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, সাংবাদিকদের হুমকির ঘটনায় অভিযোগ বা জিডি পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পশুর হাটে কেউ অতিরিক্ত টাকা আদায় করলে ব্যবস্থা নেবে উপজেলা প্রশাসন।

সর্বশেষ খবর