বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

সংকটে মেহেরপুর বিসিক

মাহবুবুল হক পোলেন, মেহেরপুর

সংকটে মেহেরপুর বিসিক

মেহেরপুর বিসিক শিল্পনগরী -বাংলাদেশ প্রতিদিন

উদ্যোক্তাদের অনীহা ও বিসিক কর্মকর্তাদের উদাসীনতার কারণে খুঁড়িয়ে চলছে মেহেরপুর বিসিক শিল্পনগরী। ২০০৬ সালে চালু হওয়া এ শিল্পনগরী মাত্র সাতটি শিল্প প্রতিষ্ঠান নিয়ে কোনোভাবে টিকে আছে। মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের পুলিশ লাইনের সামনে ১০ একর জমির ওপর ২০০৬ সালে ৭০টি প্লট নিয়ে চালু হয় এ বিসিক শিল্পনগরী। এ পর্যন্ত এখানে ৩৫টি কারখানার জন্য ৬৮টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রথমে ১১টি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও বিভিন্ন কারণে চারটি বন্ধ হয়ে গেছে। উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, যেসব সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা ছিল তার কোনোটিই পাচ্ছেন না তারা। পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ, ড্রেনেজ, সিমানাপ্রাচীর, নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেই এখানে। তাছাড়া কর্মকর্তাদের সহযোগিতাও পাওয়া যায় না। ইচ্ছা থাকলেও এখানে অনেকেই শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে ভরসা পান না। শর্ত অনুযায়ী ১৮ মাসের মধ্যে বরাদ্দ পাওয়া প্লটে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে না পারলে বরাদ্দ বাতিলের নিয়ম রয়েছে। কিন্তু বিসিক কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপরেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে নতুন উদ্যোক্তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। আবার যে কারখানাগুলো বন্ধ সেগুলোর খোঁজখবর রাখে না বিসিক কর্মকর্তারা। রাতে মূল্যবান যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে যাচ্ছে। মেহেরপুর বিসিক শিল্পনগরীর উদ্যোক্তা সমিতির সভাপতি মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, বিসিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয়ের অভাবে এখানে শিল্প কল-কারখানা গড়ে উঠছে না। মেহেরপুর বিসিকের ব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) ইব্রাহিম খলিল জানান, প্লট কিনে যারা শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছেন না তাদের ৩০ আগস্ট কাজ শুরু করা ও বকেয়া সার্ভিস চার্জ পরিশোধের নোটিস দেওয়া হয়েছে। শিল্প উদ্যোক্তাদের কাছে বিসিকের ৫০ লাখ টাকার অধিক সার্ভিস চার্জ বকেয়া রয়েছে। যাদের এখানে প্লট রয়েছে তারা শিল্প গড়তে নয় অধিক দামে অবৈধভাবে প্লট বিক্রয়ে আগ্রহী।

তার মতে বর্তমানে বিসিক এলাকায় সীমানাপ্রাচীর না থাকায় মাঝেমধ্যে ছোটখাটো চুরি হচ্ছে। বেড়েছে মাদকসেবীদের আনাগোনা। বিসিক ৪৭ হাজার টাকা পৌরকর দিয়েও পৌরসভার সহযোগিতা না পাওয়ায় অভ্যন্তরীণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর