শনিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শুঁটকির কদর দেশে-বিদেশে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শুঁটকির কদর দেশে-বিদেশে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নানা জাতের শুঁটকি মাছের প্রক্রিয়াজাতকরণের কাজ চলছে। জেলায় প্রতি মৌসুমেই কয়েক শ কোটি টাকার শুঁটকি উৎপাদিত হয়ে থাকে। স্বাদে ও গুণে অনন্য এবং নিরাপদ হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শুঁটকির কদর দেশে-বিদেশেও রয়েছে। নদীবেষ্টিত জেলা হওয়ায় তিতাস, মেঘনা নদীসহ বিস্তীর্ণ হাওরাঞ্চল থেকে বিভিন্ন জাতের মাছ সংগ্রহ করে উৎপাদন করা হয় হরেক রকমের শুঁটকি। চলতি মৌসুমেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শতাধিক মাচায় শুরু হয়েছে শুঁটকি উৎপাদনের কাজ। জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, নাসিরনগর ও আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুরের ছোট-বড় মিলিয়ে রয়েছে প্রায় দেড় শতাধিক মাচা। এসব মাচায় এখন চলছে শুঁটকি উৎপাদনের কাজ। শুঁটকি উৎপাদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত রয়েছে সহস্রাধিক মানুষ। এর মধ্যে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার মেঘনা নদীর পূর্ব পাড়ে শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণকে ঘিরে লালপুরে গড়ে উঠেছে বিশাল পল্লী। শুধু এখানেই রয়েছে ৭০টি মাচা। প্রতিদিন প্রায় ৫ টন শুঁটকি উৎপাদিত হচ্ছে। এসব মাচায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জসহ হাওরাঞ্চলের মাছ কিনে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন জাতের শুঁটকি মাছ। আশ্বিন থেকে শুরু করে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত প্রায় ছয় মাস ধরে চলে এখানে শুঁটকি তৈরির কাজ। পুটি, শৈল, গজার, বাইম, বজুরি, টেংরা, বোয়ালসহ বিভিন্ন জাতের শুঁটকি। এখানে পুটি শুঁটকি প্রকারভেদে ১২ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হয়। গইন্যা শুঁটকি ৪০ হাজার টাকা মণ দরে। এ ছাড়া পাঁচ মিশালি শুঁটকি ২৪ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হয়। শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে জড়িতরা জানালেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় বেশি দামে মাছ কিনতে হচ্ছে। এ ছাড়া শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণের অন্যতম উপাদান লবণসহ অন্যান্য উপকরণের দামও বেড়ে গেছে।

সর্বশেষ খবর