রবিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

আগাম আমনে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার আশা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

চলতি বছর বন্যায় কুড়িগ্রামের বেশকিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে উঁচু জমিতে তারা আগাম আমন ধান রোপণ করেন। লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা খুশি। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সোনালি ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কিষান-কিষানিরা। ধান সংকট দেখা দিয়েছে ধান কাটা শ্রমিকের। অনেকের ধান জমিতেই পড়ে আছে। তাছাড়া বাজারে ধানের ন্যায্য দাম নিয়েও রয়েছে কৃষকদের শঙ্কা। সরেজমিনে জানা যায়, জেলার অনেক নিম্নাঞ্চলে এ বছর আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পরবর্তীতে আগাম লাগানো আমনের বাম্পার ফলন হলে কৃষকদের মুখে হাসি ফোটে। সদর উপজেলা, রাজারহাট, উলিপুর, রৌমারী, রাজিবপুর, নাগেশ্বরী ও ফুলবাড়ি উপজেলার অনেক জমিতে এ বছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। অধিকাংশ জমির ধান ইতোমধ্যে পাকতে শুরু করায় এক সপ্তাহ ধরে কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এ অঞ্চলের কৃষক। সদর উপজেলার মোগলবাসা এলাকার কৃষক বকতার আলী জানান, এবার আমনের ফলন ভালো হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে ধান কাটতাছি। খরচ করে যদি ধানের দাম না পাই তাইলে পোষাবে না। শ্রমিক সংকট নিয়ে কৃষক মাহবুব মিয়া জানান, অনেক শ্রমিক কাজ করতে নারাজ। বাড়তি দাম দিলে তাদের কাজে আনা যায়। ফলে পাকা ধান জমিতেই রাখতে হচ্ছে। সদরের কাঁঠালবাড়ী এলাকার শ্রমিক মফিজল উদ্দিন জানায়, আমরা আগে কম মজুরিতে জমির ধান কাটতে পারতাম। এবার যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে তাতে কম রেটে কাজ করা পোষায় না। গিরস্তরাও মজুরি দিতে চান না। এ বছর বাজারে ধানের দাম বিগত বছরের চেয়ে ভালো বলে দাবি করেছে জেলা কৃষি বিভাগ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে প্রত্যাশা তাদের। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, কুড়িগ্রামে চলতি বছর ১ লাখ ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ১ লাখ ২০ হেক্টরের। এরই মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে বলে জানা গেছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, সব উপজেলায় আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে।

সর্বশেষ খবর