ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নের প্রায় ১৫০ বছরের পুরনো ঘোপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। চার বছর ধরে বিদ্যালয়টি চলছে প্রধান শিক্ষক ও দুজন সহকারী শিক্ষক ছাড়া। দীর্ঘদিন শিক্ষক সংকট থাকায় ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম। এতে শিক্ষার্থীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি বাড়তি চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন দায়িত্বে থাকা অন্য দুজন শিক্ষক। মাঝেমধ্যে এ দুজন শিক্ষকের মধ্যে কেউ ছুটি কিংবা ট্রেনিংয়ে থাকলে বিদ্যালয় হয়ে যায় শিক্ষকবিহীন। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের জন্য নতুন শিক্ষক নিয়োগ না দেওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসে বারবার ধরনা দিয়েও এ সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক শৃঙ্খলাও ভেঙে পড়েছে। শিক্ষক স্বল্পতায় মানসম্মত ফলাফলের দিক দিয়েও পিছিয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে ক্ষোভের শেষ নেই অভিভাবকদের। চার বছর আগেও এখানে শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিল দুই শতাধিক। কিন্তু বর্তমানে প্রাচীন এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা মাত্র ৬০ জন। শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থী চলে যাচ্ছে বলে ধারণা করেন এলাকার সুশীল সমাজ। অভিভাবকরা জানান, শিক্ষক স্বল্পতার কারণে নিয়মিত পাঠদান না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ভালো মানের ফলাফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে আগামী দিনে ঘোপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ভালো ফলাফল আসবে না। এ বিদ্যালয়ে প্রশাসনিক ও পাঠদান কার্যক্রম চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। এতে চরম ভোগান্তিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। অন্য স্কুল থেকে সপ্তাহে একজন সহকারী শিক্ষক এসে ক্লাস করান কিন্তু কোনো কোনো সপ্তাহে তাদের দেখা মেলে না। প্রতিদিনের পাঠদান কার্যক্রম চলছে কোনোভাবে জোড়াতালি দিয়ে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাজীব শর্মা জানান, ২০১৯ সালে প্রধান শিক্ষক ও দুজন সহকারী শিক্ষক বদলি হওয়ার পর এখনো শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তাই চার বছর ধরে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষক সংকটে দিন দিন শিক্ষার্থীদের হার কমে যাচ্ছে ও অফিসিয়াল কাজকর্ম করতে বিলম্ব হচ্ছে। বর্তমানে যারা শিক্ষক নিয়োগে উত্তীর্ণ হয়েছেন তাদের থেকে বিদ্যালয়ের শূন্য পদগুলো পূরণ করার জন্য শিক্ষা বিভাগকে অনুরোধ করব। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি লায়ন হাজি মো. মহসিন আলী জানান, প্রধান শিক্ষক ও দুজন সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদ থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘদিন পদ শূন্য থাকায় পাঠদান ও অফিশিয়াল কাজকর্ম করতে হিমশিম পোহাতে হচ্ছে দুজন শিক্ষকের।
শিরোনাম
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
- কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে