মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

সরিষা খেতে পচারি রোগ ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা

হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

সরিষা খেতে পচারি রোগ ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা

পচারি রোগে আক্রান্ত সরিষা খেত -বাংলাদেশ প্রতিদিন

কয়েকদিন তীব্র শীত ও ঘনকুয়াশার কারণে হিলির বিভিন্ন সরিষা খেতে পচারি রোগ দেখা দিয়েছে। এতে গাছের ফুল ঝরে পড়ছে। ওষুধ প্রয়োগ করেও ফল পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে উৎপাদন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিস কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে হাকিমপুর উপজেলায় ১ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমিতে। বর্তমানে হিলির বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে হলুদের সমারহ। অধিকাংশ জমিতে ফলন এসেছে। কিন্তু প্রচ- শীত-কুয়াশায় খেতে পচারিসহ নানা রোগ দেখা দেওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। ইসমাইলপুরের কৃষক ছয়ফুল ইসলাম বলেন, ঠিক যখন সরিষার পাক ধরবে তখন গাছে পচারি রোগ দেখা দিয়েছে। ওষুধ ছিটিয়ে কাজ হচ্ছে না। আমাদের সব আশা শেষ হয়ে গেল। একই এলাকার কৃষক আবদুর রাজ্জাক বলেন, কয়েকদিন ধরে বেশি ঠান্ডা পড়েছে। সঙ্গে প্রচুর কুয়াশা। শীতের কারণে সরিষার ফুল মরে যাচ্ছে। যাদের খেত ভালো আছে তাদের হয়তো খরচ উঠবে। আমাদের মতো যাদের খেত আক্রান্ত হয়েছে তাদের উৎপাদন খরচ ওঠা দূরে কথা লোকসান গুনতে হবে। বৈগ্রাম এলাকার আবদুল খালেক বলেন, তেলের দাম বেশি থাকায় কিনে খাওয়া কষ্টকর। সেই কষ্ট লাঘোবে এবার সরিষার আবাদ করেছি। কয়েকদিনের শীত ও কুয়াশার কারণে সরিষা গাছের গোড়ায় পচারি ধরছে। গাছ মরে যাচ্ছে। বিগত বছরগুলোতে কুয়াশার কারণে সরিষার খুব সমস্যা না হলেও এবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মমতাজ সুলতানা বলেন, কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে কিছু কিছু সরিষা খেতে রোগবালাই দেখা দিয়েছে। সরেজমিনে মাঠ পরিদর্শন করে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। সেই মোতাবেক তারা (কৃষক) জমির পরিচর্যাসহ অন্য ব্যবস্থা নিচ্ছেন। বর্তমানে আবহাওয়া ভালো থাকায় রোগবালাইয়ের আক্রমণ অনেকটা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হচ্ছি। আবহাওয়া এভাবে অনুকূলে থাকলে কাক্সিক্ষত ফলন পাওয়া যাবে।

সর্বশেষ খবর