পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার মাঝিপাড়ায় প্রভাবশালীদের দাপটে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জমিতে ঘর তুলতে পারছে না এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। ওই জমি চাষবাসও করতে পারছেন না তারা। মাঝিপাড়া বাজারে গতকাল সকালে সংবাদ সম্মেলন ডেকে এমন অভিযোগ করেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, লোহাকাচি মৌজার ১৫১ খতিয়ানের পাঁচটি দাগে দুই একর ৫৯ শতক জমির প্রকৃত মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান ও তার ভাই আবদুস সাত্তার। ১৯৫৭ সালে জমিটি তাদের বাবা দুই ছেলের নামে কেনেন এবং ভোগদখল করতে থাকেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন ফজলুল হক। আরেক ভাই আবদুস সাত্তার চলে যান সিলেট। এ সুযোগে জমি দখল করে নেন সেই সময়ের প্রভাবশালীরা। আবদুস সাত্তার ও ফজলুল হকের মৃত্যুর পর তাদের সন্তানরা পৈতৃক সূত্রে জমির মালিক হলেও দীর্ঘদিন ধরে জমি জবরদখল করে ভোগ করছেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। ২০১৯ সালে জমির স্বত্ব দাবি করে আদালতে মামলা করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা।
২০২২ সালের জুনে তাদের পক্ষে স্বত্বের রায় হয়। এরপরও জমি ছেড়ে দিচ্ছেন না সাহেব আলী গং। এ নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বাররা সালিশও করেন। থানায়ও বিচারের আবেদন করা হয়। কাউকে তোয়াক্কা করছে না সাহেব আলীরা। আবদুস সাত্তারের স্ত্রী জানান, আমরা দিন আনি দিন খাই। মাথা গোজার ঠাঁই নাই। পরের বাড়িতে আছি। নিজের জমি থাকতেও আমরা ভূমিহীন। আমরা কয়েকটি পরিবার খুব কষ্টে আছি। দখলকারীরা আমাদের নানা হুমকি দিচ্ছে। জমিতে যেতে দেয় না। আদালতের রায়ের কপি হাতে নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছি।
এ ব্যাপারে সাহেব আলী গং-এর সদস্য আয়ুব আলী জানান, রেকর্ড সূত্রে মালিকদের কাছ থেকে আমরা ওই জমি কিনেছি। স্বত্ব মামলা হয়েছে কিনা জানি না। আদালতের রায়ের কথাও আমাদের জানা নেই। তেঁতুলিয়া থানার ওসি আবু সাঈদ চৌধুরী জানান, জমির বিষয় আদালত বুঝে। আদালতের নির্দেশনা পেলে আইনি উদ্যোগ নেওয়া হবে।