সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

‘ডেঞ্জার জোন’ ভাঙ্গায় নির্বিঘ্নে খেজুর রস পান

ভাঙ্গা প্রতিনিধি

বর্তমান সময়ে দেশের মানুষের কাছে আতঙ্কের নাম নিপাহ ভাইরাস। সাধারণত শীত মৌসুমে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। যারা আক্রান্ত হন, তাদের অধিকাংশের খেজুরের রস পান করার ইতিহাস রয়েছে। রস তৈরির জন্য খেজুর গাছ কাটা হয়। গাছে পাতা হয় হাঁড়ি। ওই সময়ে গাছে ও হাঁড়িতে বাদুড় বসে। বাদুড়ের লালা থেকে ছড়ায় নিপাহ ভাইরাস। ভাঙ্গা উপজেলা নিপাহ ভাইরাসের ‘ডেঞ্জার জোন’ হিসেবে খ্যাত। ২০০৮ সালে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নে ছয়জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। প্রথমে অজ্ঞাত কারণ মনে হলেও পরবর্তীতে নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য বিভাগ। এলাকা পরিদর্শন করে তারা নিশ্চিত হন নিপাহ ভাইরাসে তাদের মৃত্যু হয়েছে। আর সবাই খেজুর রস পান করেছিলেন। এরপর কয়েক বছর ভাঙ্গা এলাকার মানুষ খেজুরের কাঁচা রস পানে অনেকটা বিরত ছিলেন।

এ বছর তাদের মধ্যে আতঙ্ক নেই। দেদার তারা খেজুর রস পান করছেন। অনেক শিক্ষিত লোককে খেজুর রস পানের ছবি ফেসবুকে দিতে দেখা গেছে। ভাঙ্গা সরকারি কাজী মাহবুব উল্লাহ কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের কয়েকটি খেজুর গাছ রয়েছে। এ বছর পরিবারের সবাই মিলে পাঁচ দিন রস খেয়েছি। ভাইরাস সম্পর্কে তেমন জানি না। একই কলেজের ছাত্র ভাঙ্গা পৌরসভার ছিলাধরচর সদরদী মহল্লার বাসিন্দা বলেন, বন্ধুরাসহ আমি এ মৌসুমে ছয় দিন খেজুর রস খেয়েছি। আমরা ভাঙ্গার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে রস পান করেছি। ৩০০ টাকা লিটার রস কিনেছি। গাছিরা জানান, নিপাহ ভাইরাসের ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে তাদের সতর্ক করা হয়নি। ভাঙ্গা মহিলা কলেজের শিক্ষক মিয়া মো. এনায়েত হোসেন বলেন, আমাদের খেজুর রস পান থেকে বিরত থাকা উচিত। সরকারি-বেসরকারিভাবে মানুষকে সচেতন করা গেলেই এ ভাইরাসে থেকে দূরে থাকা যাবে।

সর্বশেষ খবর