শিরোনাম
বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভেঙে যাওয়া দুই সেতুর কারণে দীর্ঘদিন ধরে জনভোগান্তি

মাসুম হেলাল, সুনামগঞ্জ

ভেঙে যাওয়া দুই সেতুর কারণে দীর্ঘদিন ধরে জনভোগান্তি

গত বছর প্রথম দফা বন্যায় পানির তোড়ে নিমিষেই ভেসে যায় একটি সেতু, সেই ভিডিও ভাইরাল হয় ইন্টারনেটে। এতে সুনামগঞ্জ জেলা সদরের সঙ্গে ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলাকে যুক্ত করা সড়কটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর থেকে প্রায় ৮ মাস পেরিয়ে গেলও পাইনাইলের ভাঙায় সেতুটি পুনর্নির্মাণ না হওয়া ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এ অঞ্চলের মানুষ। এর দুই বছর আগে একই সড়কের নোয়াগাঁও এলাকায় বানের পানির তোড়ে ভেঙে যায় সড়ক ও সেতু। সেখানে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিলেও নির্মাণ কাজের ধীরগতির কারণে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এদিকে শুকনো মৌসুমে দুটি ভাঙায় আমন জমির ওপর দিয়ে বিকল্প পথে যানবাহন চলাচল করলেও বৃষ্টি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবারও বন্ধ হয়ে যাবে সরাসরি যান চলাচল। বাড়বে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি। পানাইলের ভাঙায় পূর্ণাঙ্গ সেতু নির্মাণের আগে বেইলি সেতু নির্মাণ করে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার দাবি ভুক্তভোগীদের। দোহালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শামীমুল ইসলাম বলেন, এ সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় গত বর্ষা থেকে মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। সরাসরি যান চলাচল বন্ধ রয়েছে এ সড়কে। এ অবস্থায় ভাঙায় দ্রুত সেতু নির্মাণ প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, এর আগে যান চলাচল স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে একটি বেইলি সেতু করে দিলে মানুষ উপকৃত হয়। আমরা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এদিকে একই সড়কের নোয়াগাঁওয়ের ভাঙায় সেতু নির্মাণে ধীরগতির অভিযোগ এলাকাবাসীর। দুই বছর আগে সৃষ্ট এ ভাঙায় সেতু না থাকায় বর্ষায় ভোগান্তির মাত্রা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। চন্ডীপুর গ্রামের শাহীন বলেন, শ্যামলবাজার থেকে পূর্বদিকে একটি ও পশ্চিম দিকে একটি জায়গায় দুটি সেতু ভেঙে যাওয়ায় এ এলাকার মানুষ যোগাযোগের ক্ষেত্রে কার্যত অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন। গন্তব্যে পায়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে। সব শ্রেণিপেশার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। দুটি ভাঙায় দুটি সেতু নির্মাণের দাবি জানাই। সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম বলেন, নোয়াগাঁওয়ের ভাঙায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে। প্রথম ঠিকাদার চুক্তি বাতিল করে চলে যাওয়ায় পরে অন্য ঠিকাদার দিয়ে কাজ করাতে হচ্ছে। এ কারণে কাজ শেষ হতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে এ বছরের মধ্যেই এ সেতুর কাজ শেষ হবে আশা করি। তিনি আরও বলেন, পানাইলের ভাঙায়ও সেতুর নির্মাণের জন্য ডিজাইন প্রস্তুত করে অনুমোদনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। এই সপ্তাহের মধ্যে অনুমোদন হয়ে যাবে। পরে প্রাক্কলন করে দরপত্র আহ্বান করে শিগগিরই নির্মাণ কাজ শুরু করব।

সর্বশেষ খবর