শিরোনাম
শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

মৌলভীবাজারে বিশুদ্ধ পানির সংকট

নেমে গেছে ভূগর্ভস্থ স্তর, দুর্ভোগে বাসিন্দারা

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারে বিশুদ্ধ পানির সংকট

কূপ থেকে পানি সংগ্রহ করছেন পাহাড়ি এলাকার নারীরা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

চা-বাগান, পাহাড় ও হাওর বেষ্টিত মৌলভীবাজার জেলা। কয়েক বছর ধরে এ জেলার পাহাড় ও হাওর অঞ্চলে বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন এখানকার বাসিন্দারা। বিশেষ করে হাওর তীরবর্তী এলাকা এবং পাহাড়ের পাদদেশে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। সাবমারসিবল নলকূপ ছাড়া উঠছে না বিশুদ্ধ পানি। সরকারি বরাদ্দের গভীর নলকূপ বিতরণেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ভোক্তভোগীরা বলছেন, জনপ্রতিনিধিরা টাকার বিনিময়ে তাদের পছন্দের ব্যক্তির বাড়িতে গভীর নলকূপ স্থাপন করছেন। জুড়ি উপজেলার লাটিটিলা পাহাড়ে গিয়ে দেখা যায়, টিলায় বসবাসরত জনগোষ্ঠী এখনো কুয়ার পানি পান করছেন। দূর-দূরান্ত থেকে পাহাড় বেয়ে তারা সংগ্রহ করছেন পানি। বিশুদ্ধ পানির জন্য প্রতিনিয়ত পাহাড়ে বসবাসকারীরা সংগ্রাম করছেন। কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের রামপুর, নারায়ণক্ষেত্র, রায়নগর, রামচন্দ্রপুরসহ আশপাশের কিছু এলাকায় অগভীর নলকূপে পানি উঠছে না। অকেজো হয়ে পড়ে আছে নলকূপগুলো। হাকালুকি হাওরের ভুকশিমইল ইউনিয়নের অগভীর নলকূপেও পাওয়া যাচ্ছে না পানি। দূরের কোনো বাড়ি থেকে খাবারের জন্য পানি আনতে হচ্ছে এ ইউনিয়নের বাসিন্দাদের। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন খরার কারণে পুকুর, খালবিল, নদী-নালার পানি শুকিয়ে গেছে। ইতিপূর্বে কমলগঞ্জের অগভীর নলকূপে কখনো পানি না পাওয়ার কথা শোনা যায়নি। এখন অগভীর নলকূপে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। লাটিটিলার বাসিন্দার বলছেন, খাবার পানি কুয়া থেকে আনতে হয়। অনেক সময় বিশুদ্ধ পানিও পাওয়া যায় না। মৌলভীবাজার জনস্বাস্থ্য নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খালেদুজ্জামান বলেন, বছরের চৈত্র ও বৈশাখ মাসে পানির লেভেল কিছুটা নিচে নেমে যায়। বৃষ্টি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পাহাড় ও চা-বাগানে বিশুদ্ধ পানির বিষয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে অনেক জায়গায় বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখনো যেসব এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট রয়েছে তা দূর করার জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

সর্বশেষ খবর