হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মুরাদপুর-শিবপাশা সড়কে অল্প বৃষ্টিতেই তৈরি হয় খানাখন্দ। সড়কের বিভিন্ন অংশে ছোট ছোট গর্ত এখন বড় আকার ধারণ করেছে। যার কারণে জনদুর্ভোগ এখন চরম আকার ধারণ করেছে। এমতাবস্থায় বছরের পর বছর সড়কটি (আবুরা) করে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়ে আসলেও কাজের কাজ হচ্ছে না কিছুই। সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী ২০ থেকে ২৫টি গ্রামের সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে ক্ষোভ আর হতাশা। জানা যায়, বানিয়াচং উপজেলা সদরসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে বর্তমান সময়ে বেশ কিছু নতুন সড়ক নির্মাণসহ পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে রহস্যজনক কারণে উপজেলার মুরাদপুর-শিবপাশা সড়কটিতে লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। আধুনিকতার যুগে এসেও কাঁচা কাদামাটিযুক্ত রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে হাজারো গ্রামবাসীকে। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কটি দিয়ে রীতিমতো যুদ্ধ করে হেঁটে চলাচল করতে হয়। গত কয়েকদিনের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। গর্তের মধ্যে পানি জমে দুর্ভোগের মাত্রা বেড়েই চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত এ বিষয়ে যেন একটি সিদ্ধান্ত নেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনটাই দাবি ভুক্তভোগীদের। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মুরাদপুর-শিবপাশা সড়কটি বানিয়াচং উপজেলা সদরসহ জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। এ সড়কটি দিয়ে চলাচল করে মুরাদপুর, তালিবপুর, শাহজালালপুর, রহমতপুর, মাখনিয়া, মর্দনপুর, রায়পুর, ভবানীপুর, গানপুর, পাহারপুর, বিথঙ্গল, যশকেশরী, শ্রীমঙ্গলকান্দি, মাটিকাটাসহ আশপাশের অন্তত ২৫টি গ্রামের মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি পাকা না হওয়ায় মাটির রাস্তা দিয়ে যাত্রী পরিবহন করে বেশ কিছু যানবাহন। বৃষ্টি নামলেই শেষ হয়ে যায় পরিবহনের চলাচল। সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে একদিন বৃষ্টি হলে পরের অন্তত তিন দিন কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। ভুক্তভোগী জুয়েল চৌধুরী জানান, মুরাদপুর-শিবপাশা সড়কটি আবুরা নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য আমরা গ্রামবাসী দাবি জানিয়ে আসলেও আমাদের কথা শোনার কেউ নেই। কাদামাটির রাস্তা দিয়েই আমাদের চলাচল করতে হয়। আমাদের দুঃখ-দুর্দশা কবে লাঘব হবে তাও আমরা জানি না। মানিক চৌধুরী নামে অপর আরেক ভুক্তভোগী জানান, অন্য এলাকাগুলোতে যেখানে হাওরের মাঝখান দিয়ে সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানে আমাদের এখানে ব্যতিক্রম। হাজার হাজার মানুষের বছরের পর বছর দুর্ভোগের চিত্র নিত্যদিনের। উজ্জ্বল চৌধুরী বলেন, আমরা এমনিতেই গ্রামের মানুষ। কাদামাটিতেই আমাদের বেড়ে ওঠা। বৃষ্টির দিনে সড়কটি দিয়ে রোগী আনা-নেওয়া আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য। আমরা দাবি জানাই অচিরেই যেন এর একটি সুরাহা হয়। এ বিষয়ে বানিয়াচং উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. মিনারুল ইসলাম জানান, হাওর অঞ্চলের বন্যা ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্পে এ রাস্তাটি দেওয়া আছে। একনেকে অনুমোদন দেওয়া হলে হয়তো পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, শুধু মুরাদপুর শিবপাশা রাস্তাটিই নয়, উপজেলার প্রায় ৪০% রাস্তাই পাকা হয়নি। আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।
শিরোনাম
- বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে চাকরিপ্রার্থীর মামলা
- নারায়ণগঞ্জে যৌথ অভিযানে ৩ কোটি টাকার চায়না দুয়ারি জাল জব্দ
- চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
- কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ ও থানায় ককটেল হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
- হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় দেশবাসীকে স্বস্তি দিয়েছে : আমানউল্লাহ
- আখাউড়ায় ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ আটক ২
- ‘হাসিনার রায়ের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের কবর রচিত হয়েছে’
- শেকৃবিতে পুনর্জন্ম কৃষি নিয়ে গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত
- মাটিরাঙ্গায় ইমাম–ওলামাদের নিয়ে বিএনপির মতবিনিময় সভা
- বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা থেকে ৩ ককটেল উদ্ধার
- তারুণ্যের উৎসবে বারি’র প্রযুক্তি প্রদর্শনী ও কর্মশালা
- রংপুর বিভাগের ৫৩ ‘জুলাই যোদ্ধার’ গেজেট বাতিল
- সাগরপথে মানবপাচারের প্রস্তুতিকালে আটক ৪
- হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
- উত্তর কুয়েতে ৭,৭০০ বছরের প্রাচীন ভাটির সন্ধান
- দুই লাখ ২০ হাজার টন সার কিনবে সরকার
- তরুণ প্রজন্ম দেশকে উদ্যোক্তা বান্ধব রাষ্ট্রে পরিণত করবে : প্রাথমিক উপদেষ্টা
- ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে চার জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯২০
- কান্নার শব্দে ধান ক্ষেত থেকে উদ্ধার হলো ২ দিনের নবজাতক
- ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা