বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

জেলা বিএনপির ১৭ নেতা-কর্মী জেলহাজতে

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির ১৭ নেতা-কর্মীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে। তাদের সবাইকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ জিয়া হায়দার এ আদেশ দেন। বিএনপি নেতা-কর্মীরা জামিনের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসর্ম্পণ করেছিলেন। জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়া বিএনপি নেতা-কর্মীরা হলেন- রফিকুল ইসলাম তনু, মোকারম হোসেন, মনিরুজ্জামান মনির, আবদুল হাশেম, আবদুর রহিম, মো. মন্টু মিয়া, মো. আবু সাঈদ বিশ্বাস, ইউসুফ আলী, আবদুল ওয়াহেদ, মো. মাসুদ রানা, মো. সুমন, রফিক, মো. ওসমান গনি, মো. সামসুল আলম, ইদ্রিস আলী, রহুল আমিন ও মো. কুতুব উদ্দিন।

জামিন নামঞ্জুর হওয়া সবাই দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী। এর মধ্যে মনিরুজ্জামান মনির দামুড়হুদা থানা বিএনপির সভাপতি ও রফিকুল ইসলাম তনু দামুড়হুদা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। অন্যরা দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী।

চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. বেলাল হোসেন জানান, হাইকোর্টের ক্রিমিনাল মিস মামলার চলতি বছরের ৬ মার্চ তারিখের আদেশে ছয় সপ্তাহের মধ্যে মামলার আসামিদের চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসর্ম্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আসামিরা চুয়াডাঙ্গার বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে গতকাল আত্মসর্ম্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালতের বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ জিয়া হায়দার আসামি ও সরকার পক্ষের বক্তব্য শুনে আত্মসর্ম্পণ করা সব আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।  মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে পিপি বলেন, চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে দামুড়হুদার দশমি গ্রামের ফুটবল মাঠের কাছে কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী সরকারবিরোধী কাজের জন্য একত্রিত হয়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর পায় পুলিশ। রাত ১০টার দিকে পুলিশ ফুটবল মাঠের কাছে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করে। বাকিরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে ২৫-৩০ জন সমবেত হয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ সাতটি বোমাসদৃশ্য বস্তু ও ১৫টি বাঁশের লাঠি উদ্ধার করেছিল। আটক করা পাঁচ আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ ২২ জনের নাম ঠিকানা উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জনকে আসামি করে ঘটনার পর দিন ১০ ফেব্রুয়ারি দামুড়হুদা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করে। পাবলিক প্রসিকিউর মো. বেলাল হোসেন আরও বলেন, ওই মামলায় ১৭ জন আসামি হাইকোর্টের নির্দেশে গতকাল চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসর্ম্পণ করেন। তাদের জামিন নামঞ্জুর করে সবাইকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর