বুধবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

বঙ্গবাজারের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা

শত কোটি টাকা বাকি

রোমান চৌধুরী সুমন ও এম এ শাহীন, নারায়ণগঞ্জ

বঙ্গবাজারের অগ্নিকান্ডের ঘটনার চরম প্রভাব পড়েছে নারায়ণগঞ্জে কাপড় ও ক্ষুদ্র গার্মেন্ট হোসিয়ারি শিল্পে। প্রতি বছর ঈদ উপলক্ষে বঙ্গবাজারের দোকানিদের প্রায় শত কোটি টাকার বাকি দেন নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। ঈদ এলে সেটা দ্বিগুণ হয়ে যায়। কিন্তু ঈদের পর সব পাওনা টাকা পরিশোধ করেন তারা। আগুনে পুড়ে সবই শেষ সেখানকার ব্যবসায়ীদের। নয়ামাটি, রিভারভিউ মার্কেট, দেওভোগ মার্কেট ও ২ নম্বর রেলগেটের থানকাপড় ব্যবসায়ীদের প্রায় ১০০ কোটি টাকারও বেশি বকেয়া আছে বঙ্গের ব্যবসায়ীদের কাছে। এ বিষয়ে শহরের নয়ামাটির শোভা গার্মেন্টের পরিচালক রিপন পোদ্দার হতাশা প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে বাকিতে বিক্রি করেছি। ২৮ বা ২৯ রোজায় পাওনা টাকা পাওয়ার কথা ছিল। তবে আগুনে তো তারা প্রায় নিঃস্ব হয়ে গেছে। তাই পাওনা টাকা আর চাইব কীভাবে? আসলে ওদের চেয়ে আমরা বেশি পুড়েছি। রিভারভিউ মার্কেটের তৃতীয় তলার হোসিয়ারি ব্যবসায়ী হাজি মোহাম্মদ মোক্তার হোসেন বলেন, আমি প্রায় ৪০ লাখ টাকা পাওনা আছি। এই টাকা কবে পাব তা জানা নেই। শুধু আমিই না, নারায়ণগঞ্জের প্রায় ৫০০ পোশাক বিক্রেতার ১০০ কোটি টাকারও বেশি পাওনা আছে সেখানে। হিসাবটা আমি কমই বললাম। আরও বেশি হবে। একই মার্কেটের চতুর্থ তলার মিনহাজুল হোসিয়ারির পরিচালক মনির হোসেন বলেন, আমি বঙ্গবাজারে ১০ জন ব্যবসায়ীকে ৪০ লাখ টাকার বাচ্চাদের পোশাক দিছি। আগুন না ধরলে ঈদের আগে সেই টাকাটা পেয়ে যেতাম। নগরীর দেওভোগ মার্কেটের ব্যবসায়ী আবির ফ্যাশনের পরিচালক মাহবুব আলম বলেন, বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে সবচেয়ে বেশি বকেয়া আছে এই দেওভোগ মার্কেটের বিক্রেতাদের। ঈদের আগে অথবা পরে হিসাব করে সেই টাকা তারা দিয়ে দেবে। তবে তাদের সঙ্গে এখন আমরাও পুড়ে গেলাম। দেওভোগ মার্কেট ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সহসভাপতি মুজিবুর রহমান বলেন, আমাদের ৪০ কোটি টাকারও বেশি পাওনা আছে। হিসাবটা আরও অনেক বেশিও হতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন গার্মেন্ট শত কোটি টাকার বেশি পাওনা বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে।

 কেউ কেউ ৫ কোটি টাকাও পাওনা আছে। এদিকে নারায়ণগঞ্জের দুইনং রেলগেট এলাকায় অবস্থিত থানকাপড়ের মার্কেটের ব্যবসায়ীরাও বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে অনেক টাকা পায় বলে জানা গেছে।

সর্বশেষ খবর