আগের মতো কর্মব্যস্ততা নেই মেহেরপুর গাংনী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের তাঁতপল্লীতে। গ্রামে প্রায় ৪০০ তাঁতি পরিবারের বাস। ২৫-৩০ পরিবার এখনো এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত। ১০-১২ বছর আগেও তাঁতপল্লী ঘিরে ছিল ভিষণ ব্যস্ততা। এ অঞ্চলে কাপড়ের সবচেয়ে বড় বাজার পোড়াদহসহ দেশের বড় বড় বাজার দখল ছিল রাজাপুরের তাঁতের শাড়ি, লুঙ্গি ও গামছায়। কাপড় তৈরির আধুনিক যন্ত্রপাতি, পোশাকে আধুনিকতার ছোঁয়ায় হাতে তৈরি তাঁত শিল্পকে হার মানিয়ে দিয়েছে। এখন কেউ কেউ শুধু গামছা তৈরি করে বাপ-দাদার পেশা টিকিয়ে রেখেছেন। অনেকে বাধ্য হয়ে পেশা বদল করেছেন। এ শিল্প বাঁচাতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা চান সংশ্লিষ্টরা। তাঁতিদের দাবি স্বল্প সুদে ঋণ পেলে আধুনিক তাঁত কিনতে পারবেন তারা। ফলে আবার সুদিন ফিরবে রাজাপুরের তাঁতপল্লীতে। রাজাপুর গ্রামের তাঁতিরা জানান, পরিবারের সবাই মিলে প্রতিদিন ১০টি গামছা বুনে ৫০০ টাকায় বিক্রি করি। ৩০০ টাকা খরচ বাদ দিলে ২০০ থাকে। এতে মহাজনের কাছে ঋণি হয়ে যাচ্ছি। কারও কাছ থেকে কোনো রকম সহায়তাও পাইনি। মেহেরপুর-২ আসনের এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, তাঁতিদের তৈরি কাপড় এলাকার ব্যাপক চাহিদা মেটাতো। নানা কারণে তারা এখন পেশা বদল করছে। অনেকে পুঁজি হারিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তারা যাতে সরকারি ঋণ ও প্রণোদনা পান সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেব।