সোমবার, ১৫ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

জরাজীর্ণ স্কুল ভবনে পাঠদান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

জরাজীর্ণ স্কুল ভবনে পাঠদান

খসে পড়েছে ছাদের পলেস্তারা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ভবনের বিভিন্ন স্থানে পলেস্তারা খসে পড়েছে। দেখা দিয়েছে ফাটল। বের হয়ে এসেছে ইট-সিমেন্ট। বিদ্যালয়ের ছাদ থেকেও খসে পড়ছে পলেস্তারা। ছাদের অধিকাংশ জায়গায় রয়েছে ফাটল। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষকরা ঝুঁকি নিয়ে এ ভবনেই পাঠদান করতে বাধ্য হচ্ছেন। এ চিত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের খড়িয়ালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। এ বিদ্যালয়ে দুটি পাকা ভবন রয়েছে। এর মধ্যে যে ভবনটি পরে নির্মাণ করা হয়েছে সেটির অবস্থাই বেশি খারাপ।

সূত্র জানায়, ১৯৬৮ সালে আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের খড়িয়ালা পূর্বপাড়ায় খড়িয়ালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা ২৪৭। এর মধ্যে ছেলে ১০৮ ও মেয়ে ১৩৯ জন। শিক্ষকসহ আছেন পাঁচজন। ২০০১-২০২২ অর্থ বছরে বিদ্যালয় চত্বরের পূর্বদিকে একটি এবং ২০০৫-০৬ সালে পশ্চিম দিকে আরেকটি পাকাভবন নির্মাণ করা হয়। দুটি ভবনই পিলারের ওপর দাঁড়ানো। পশ্চিম পাশের ভবনটি পরে নির্মাণ করা হলেও এর নিচের একাধিক পিলারের পলেস্তরা খসে পড়েছে। ইট-সিমেন্ট বের হয়ে এসেছে। একাধিক জায়গায় দেখা দিয়েছে ফাটল। পলেস্তরাসহ ইট-সিমেন্ট খসে পড়ায় বের হয়ে গেছে রড। সিঁড়ির দেয়াল ভেঙে গেছে। বিমের পলেস্তরা ধসে পড়েছে। পশ্চিম দিকের ভবনে শ্রেণিকক্ষ, বারান্দা, দফতরের ছাদের ওপরের একাধিক জায়গায় ফাটল রয়েছে। এটিরও পলেস্তরা খসে পড়ছে। এর মধ্যেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়েই পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আফসানা, রোমান, জোনাকি আক্তার জানায়, স্কুলের ছাদ থেকে সিমেন্ট খসে পড়ে। ছাদের রড বের হয়ে গেছে। সিঁড়ির দেয়ালও ভেঙে গেছে। ভয় নিয়ে আমরা ক্লাস করি। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস করতে হয়। পরীক্ষার সময় কষ্ট হয় তাদের। প্রধান শিক্ষক হাসিনা বেগম বলেন, সবশেষ বিদ্যালয়ের একটি ভবনের জরাজীর্ণের অবস্থা উল্লেখ করে নতুন ভবনের জন্য ২০২২ সালের শেষদিকে সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি পাঠিয়েছি। ভবনের অনেক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। রড দেখা যায়, পলেস্তরা খসে পড়ছে। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে এ জরাজীর্ণ ভবনে শ্রেণি কার্যক্রম এবং দাফতরিক কার্যক্রম চালাতে হয়।

সর্বশেষ খবর