৪ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে ২১ মণ ওজনের ডিপজল। ডিপজলকে বিক্রি করে খুশি নয় মালিক। লোকসান হয়েছে বলে দাবি করেছেন ফ্রিজিয়ান জাতের বিশাল দেহের গরুর মালিক খলিলুর রহমান। তার তথ্য মতে, গত দুই বছরে গরুটির পেছনে ব্যয় হয়েছে খাবার দাবারের খরচ হিসাবে ৩ লাখ টাকা। রাখাল, খরচ ও নিজেদের পরিশ্রম মিলিয়ে খুব একটা লাভ হয়নি। গরুটির দাম ৬ লাখ টাকা হাঁকা হলেও ক্রেতার অভাবে শেষ পর্যন্ত ৪ লাখ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হয়।
নরসিংদীর বেলাব উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের এআই টেকনিশিয়ান বলেন, এবার কোরবানি ঈদকে ঘিরে ফ্রিজিয়ান জাতের বিশাল দেহের একটি গরু লালন পালন করছেন। একটি গাভী থেকে ষাঁড়টির জন্ম হয়।
জন্মের পর শখ করে নাম রাখেন বেলাবর ডিপজল। সাড়ে ৬ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রস্থ বিশাল দেহের ষাঁড়টি এখন এলাকার আকর্ষণীয় গরু ছিল। সাদা কালো রঙের গরুটি লালন পালন করছেন পরিবারের সদস্যসহ একজন রাখাল। প্রতিদিন গোসল করার পাশাপাশি গরুটিকে খাওয়ানো হয় সবুজ ঘাস, গম, ভুষি, ভুট্টাসহ বিভিন্ন দানাদার খাদ্য। খামারি খলিলুর রহমান জানান, গরুটি লালন পালনে প্রথমে তার ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা খরচ হলেও শেষের দিকে প্রতিদিন ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা খরচ হতো। গত দুই বছরে ৩ লাখ টাকা খরচ করেছেন গরুটির পেছনে। এবার কোরবানি ঈদে তিনি গরুটি ৬ লাখ টাকায় বিক্রির আশা করেছিলেন। কিন্তু ক্রেতা না থাকায় শেষ পর্যন্ত গরুটি ৪ লাখ টাকা বিক্রি করতে হয়েছে। গুরুটিকে আরও এক বছর লালন পালন করলে তার পেছনে আরও অনেক টাকা খরচ হবে। পরবর্তীতে লোকসানের আশঙ্কায় তিনি গরুটি বিক্রি করেছেন বলে জানান। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ গরুটি দেখতে ছুটে আসত আমার বাড়িতে।