প্রকৃতির বৈরী আচরণে চলতি বছর লিচুর ফলন কিছুটা কম হলেও বাজারে ভালো দাম পেয়ে খুশি বিজয়নগরের লিচু চাষি ও ব্যবসায়ীরা। কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী, চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ১ হাজার ৭০০ টন লিচু উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ২৫ কোটি টাকা।
প্রায় তিন সপ্তাহ আগে বাজারে এসেছে দেশি পাটনা জাতের লিচু। বর্তমানে বোম্বে ও চায়না-থ্রি জাতের লিচু ভাঙার মৌসুম চলছে। গাছে ঝুলছে রঙিন লিচুর থোকা, যা সংগ্রহ করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা ট্রাকযোগে লিচু নিয়ে যাচ্ছেন।
প্রায় ১৫ বছর আগে উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে লিচু চাষ শুরু হয়। লাভজনক হওয়ায় চাষিরা দ্রুত ঝোঁকেন লিচু চাষে। বর্তমানে উপজেলার পাহাড়পুর, বিষ্ণুপুর, সিঙ্গারবিল, হরষপুর, পত্তন, চম্পকনগর ইউনিয়নে লিচুর আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে পাহাড়পুর, বিষ্ণুপুর ও সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে লিচু গাছ ও বাগান।
চাষিরা বলছেন, উৎপাদন কিছুটা কম হলেও দাম ভালো পাওয়ায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারছেন। কুমিল্লার লিচু ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর জানান, প্রতি হাজার লিচু বাগান থেকেই দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, এর সঙ্গে শ্রমিক খরচ, হাটের খরচ, পরিবহন মিলিয়ে মোট খরচ ৪ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম জানান, ৬৩০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে, এর মধ্যে ৪৪০ হেক্টরে ফলন হয়েছে। বাজারে চাহিদা ও দামের কারণে এ বছর লিচু চাষিদের আয় উল্লেখযোগ্য হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।