মাত্র ১০ মিনিটের বৃষ্টির পানি জমেই সড়কে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এ দৃশ্য জয়পুরহাটের কালাই পৌরশহরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কালাই-ক্ষেতলাল সড়কে। এতে প্রথম শ্রেণির কালাই পৌরসভার নাগরিকদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। ভোগান্তিতে পড়ছে বিভিন্ন যানবাহনের চালক, শিক্ষার্থী ও পথচারীরা। স্থানীয়রা জানান, রাস্তার দুই পাশে অপরিকল্পিতভাবে বসতবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের স্থাপনা নির্মাণ, ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টির পানিতেই তলিয়ে যায় সড়ক। শুধু তাই নয়, জমে থাকা পানি নামতেও দীর্ঘ সময় লেগে যায়। স্থানীয়রা জানান, কালাই পৌরশহরে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। এ ছাড়া জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়ক ও কালাই-ক্ষেতলাল সংযোগ সড়কও এটি। এ সড়ক হয়ে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কালাই সরকারি মহিলা কলেজ, কালাই সরকারি ময়েন উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়, মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাকলি শিশু নিকেতন ও বৃহৎ কালাই হাটে যাতায়াত করতে হয়। প্রতিদিন এসব প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে এ সড়কে। সড়কে বৃষ্টির পানির সঙ্গে শহরের ময়লা-আবর্জনা মিশে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এ পানির ওপর দিয়ে মানুষকে রাস্তায় চলাচল করতে হয়। যানবাহনও ধীর গতিতে চলাচল করে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা পড়ে চরম ভোগান্তিতে। কালাই সরকারি ময়েন উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বকুল বলেন, শহরে যারা আসেন, তাদের অধিকাংশকেই কোনো না কোনো কাজে এ সড়কে চলাচল করতে হয়। সড়কে পানি জমে থাকার সমস্যা দীর্ঘদিনের।
কয়েকজন পথচারী বলেন, এ সড়ক হয়ে এখানকার সবাইকে চলাচল করতে হয়। হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ, হাট ছাড়াও এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলা বা আশপাশের জেলাগুলোতেও যাতায়াত করতে হয় এখান দিয়ে। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যা, নিরসনের উদ্যোগ নেই। ওই সড়কের পাশে ইউনিক লাইব্রেরির মালিক প্রভাষক ছানাউল হক বলেন, ‘দিন দিন এ এলাকার পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর। সড়কে জমে পানি। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনাও জমে থাকে। আরেক ব্যবসায়ী বাবু বলেন, ‘এ সড়ক নির্মাণ হয়েছে অনেক আগে, দুই পাশে ভবন নির্মাণ হয়েছে অনেক পরে। অপরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণ করার কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে সবাইকে।’ কালাই পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এ সমস্যা এক দিনের নয়, চাইলেই সমাধান করা যাবে না। বেশ কয়েকবার কাজ করতে গিয়ে ফুটপাতে ব্যবসায়ীদের বাঁধার মুখে ফিরে আসতে হয়েছে। দ্রুত এ সমস্যা সমাধান করতে হবে। তা না পারলে পৌরবাসীকে আরও দুর্ভোগ পোহাতে হবে।