রূপগঞ্জের পূর্বাচলে এক ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে রাশেদুল ইসলাম রাশেদ (৪৪) নামে হত্যা মামলার এক সাক্ষীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে পূর্বাচলের ভোলানাথপুর ১৩ নম্বর সেক্টর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। অপহরণের শিকার রাশেদ ভোলানাথপুর এলাকার মৃত আবদুর রহমান মুন্সির ছেলে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ভোলানাথপুর এলাকার রাসেল, একই এলাকার সাব্বির, রনি, শান্ত, রনি ও শিপলু।
ভুক্তভোগী রাশেদুল ইসলাম রাশেদ বলেন, ‘২০১৮ সালে ভোলানাথপুর এলাকার রাকিব মিয়ার মেয়ে সুবর্ণা আক্তার নামের এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় তরুণীর বাবা বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় আদালতে সাক্ষী দিই আমি। এরপর থেকে আসামিরা বিভিন্ন মাধ্যমে বাদীকে দিয়ে মামলা তুলে নিতে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। এরই জেরে গতকাল সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল তার লোকজন নিয়ে বাসায় এসে আমাকে টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে মুক্তিপণ হিসেবে ৭০ লাখ টাকা দাবি করে। তারা আমার পরিবারের কাছ থেকে নগদ ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণও নেয়। এ সময় তারা আমার হাতে থাকা একটি ডায়মন্ডের আংটি নিয়ে আমাকে ছেড়ে দেয়। পরে আমি রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ করি।’
রূপগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, দুপুরে অভিযান পরিচালনা করে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।