বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেছেন, বিদ্যুৎ ও গ্যাসসংকট তৈরি পোশাক খাতের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। গ্যাসনির্ভর ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ শিল্পে এ সংকট আরও বেশি। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স (অ্যামচ্যাম) আয়োজিত বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত : অগ্রযাত্রার পথ শীর্ষক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় আরও বক্তৃতা করেন বিজিএমইএ পরিচালক ফয়সাল সামাদ, অ্যামচ্যাম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিনিয়োগ ইকোসিস্টেম মহাপরিচালক গাজী এ কে এম ফজলুল হক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব (শুল্ক, রপ্তানি ও বন্ড) মো. নাজিউর রহমান মিয়া প্রমুখ। বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, মধ্য ও নিম্নমানের অনেক কারখানা প্রাথমিক উৎপাদনশীলতা সূচক অনুসরণ করে না। ফলে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিজিএমইএর প্রায় ৭ হাজার ১০০ সদস্যের মধ্যে বর্তমানে ৩ হাজারের কম সদস্য রপ্তানিতে সক্রিয় রয়েছে। সৌরবিদ্যুতের জন্য মার্চেন্ট পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট হলেও জমির স্বল্পতা বড় বাধা। অ্যামচ্যাম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ওপর নির্ভরশীলতা অত্যন্ত বেশি। তৈরি পোশাক খাত মোট রপ্তানির ৮১.৫% এবং জিডিপির ১১% জুড়ে রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র যথাক্রমে রপ্তানির ৪০% এবং ১৭.৬% গ্রহণ করে। যা বৈশ্বিক বাণিজ্যের পরিবর্তনের সঙ্গে অর্থনীতিকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে।
ভারত ও ভিয়েতনামের তুলনায় বাংলাদেশের পশ্চিমা বাজারের ওপর নির্ভরতা বেশি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের ফলে নতুন রপ্তানি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ‘১০০ বিলিয়ন ডলার আরএমজি এক্সপোর্ট সেল’ গঠন করা হচ্ছে। যা জ্বালানি, ব্যাংকিং ও করসংক্রান্ত সমন্বয়কে ত্বরান্বিত করবে। তিনি বিশ্বাস করেন, সঠিক সহযোগিতা ও খাতের বৈচিত্র্যের মাধ্যমে ২০২৭-২৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ১০০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি অর্জন করতে পারবে।
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান বলেন, তৈরি পোশাক খাতে নিম্নমূল্যের পণ্য থেকে উচ্চমূল্যের পণ্যের দিকে অগ্রসর হওয়া উচিত। এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রাক্কালে এবং যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির কারণে উৎপাদনশীলতা ও প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বাড়াতে হবে।