গাজীপুরের শ্রীপুরে বিস্ফোরক, অস্ত্র ও চাঁদাবাজিসহ সাত মামলার বহিষ্কৃত আসামি যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম পিন্টুকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন বিএনপির এক নেতা। গতকাল সকালে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু ওই নেতাকে পুলিশে সোপর্দ করেন। অভিযুক্ত যুবদল নেতা পিন্টু উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি শ্রীপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। স্থানীয়রা জানায়, গত বছর ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে যুবদলের নাম ব্যবহার করে বেপরোয়া হয়ে উঠে পিন্টু।
চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ্যে চাঁদা চাওয়ার ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরই সংগঠন থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিস্ফোরক, চাঁদা দাবি ও মাদক আইনে সাতটি মামলা রয়েছে।
অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, ‘সাত মামলার আসামি বহিষ্কৃত যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম পিন্টুকে ধরে শ্রীপুর থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।’
শ্রীপুর থানার ওসি আবদুল বারিক জানান, ‘রাম দা নিয়ে মহড়া ও মাইকে প্রকাশ্যে চাঁদা চাওয়ার ঘটনায় মামলার পর থেকেই জাহাঙ্গীর আলম পিন্টু আত্মগোপনে ছিল। গতকাল এক বিএনপি নেতা তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন। তার নামে শ্রীপুর থানায় সাতটি মামলা রয়েছে।’