মানব পাচারের শিকার জাহাঙ্গীর আলম বাদশার সন্ধান চেয়েছেন তার স্বজনরা। নীলফামারী প্রেস ক্লাবে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে সরকারের প্রতি বাদশাকে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে বাদশার স্ত্রী শিউলি বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে জাহাঙ্গীর আলম বাদশাকে পাকিস্তানে নিয়ে যান জেলা শহরের সবুজপাড়ার মাহবুব হোসেন। বাদশার সঙ্গে আরও যান জেলা শহরের বারইপাড়ার সুফিয়ান ইসলাম, ডিমলা উপজেলা সদরের আবদুল মান্নান ও ডোমার উপজেলার মেলা পাঙ্গা এলাকার ওমর ফারুক। অভিযোগ করা হয় গ্রিসে নেওয়ার কথা থাকলেও পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয় এই চার ব্যক্তিকে। সেখান থেকে মুক্তিপণ দাবি করা হয় চার পরিবারের কাছে। মাহবুবকে চার পরিবার থেকে ৪০ লাখ টাকা দেওয়া হলে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরে আসেন তিনজন। আজও দেশে আসতে পারেননি জাহাঙ্গীর আলম বাদশা। নির্মম নির্যাতন করা হচ্ছে তাকে।
বাদশার মা হাসিনা বানু কানাজড়িত কণ্ঠে বলেন, সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরানোর জন্য বিদেশে যাওয়ার ইচ্ছা করে ছেলে। জাল ভিসা ও প্রতারণার শিকার হয় সে। পরিবার-পরিজন নিয়ে হতাশায় দিন কাটাচ্ছি আমরা। ছেলে বেঁচে আছে কি না জানতে পারছি না। অতি দ্রুত ছেলেকে ফিরিয়ে আনতে সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি। শহরের বারইপাড়ার নাছিমা আক্তার জানান, মাহবুব একজন প্রতারক। বিদেশ পাঠানোর জন্য কথা বলে বিভিন্ন জনের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন তিনি।