পাবনা শহরের মণ্ডলপাড়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়েছে। বউবাজার ক্লাব এলাকায় বুধবার রাতে এ সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই মণ্ডলপাড়ায় দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের পৌর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরিচয়ধারী তুহিন এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন। তার নেতৃত্বে ২০-২৫ জন লাঠি, রড, ছোরা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ক্লাব এলাকায় মহড়া দিচ্ছিল। অপর পক্ষ বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে বন্দুকের গুলি ছোড়ে তুহিনের লোকজন। এতে প্রতিপক্ষের কয়েকজন রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। পাবনা সদর থানা, ডিবি ও ডিএসবি পুলিশের একাধিক টিম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে ছয়টি গুলির খালি খোসা ও কয়েকটি ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে। সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে নাজিম (২৬) নামে একজনকে। পাবনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনিছুল হক বাবু বলেন, এই হামলায় যারা জড়িত, তাদের অনেকেই ছাত্র হত্যা মামলার আসামি। অথচ তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।সদর থানার ওসি আব্দুস সালাম বলেন- পুলিশের একাধিক ইউনিট পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। একজন আটক হয়েছেন। জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো পক্ষ এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ করেনি বলেও জানান তিনি।