নেত্রকোনার হাওরাঞ্চল এক সময় পাটের জন্য বিখ্যাত ছিল। নদীপথে লঞ্চ-স্টিমারে দেশের বিভিন্ন স্থাানে রপ্তানি হতো পাট। সেই পাটের আবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন এ অঞ্চলের চাষিরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এ বছর জেলায় ৪ হাজার ৫৯০ হেক্টর পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। অর্জিত হয়েছে ৪ হাজার ৪১০ হেক্টর। পরিবেশবিদরা মনে করেন, রপ্তানিমুখী এই ফসল আবাদ বাড়ানোর মাধ্যমে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক চাকা ঘুরতে পারে। গড়ে উঠতে পারে পরিবেশবান্ধব কলকারখানা। তবে এর জন্য প্রয়োজন কৃষকদের উদবুদ্ধকরণ কর্মসূচি গ্রহণ ও পাটের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা। কথিত আছে, এ অঞ্চলে পাটের ফলন এমনই ছিল যে শত বছর পূর্বে একটি নদীর নামই ছিল পাটেশ্বরী। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুজ্জামান জানান, কৃষকরা ধানের পাশাপাশি সবজি জাতীয় এবং সরিষাসহ অন্যান্য লাভজনক ফসল করায় পাটের আবাদ কমে যাচ্ছে। পাটজাত পণ্য তৈরি হলে বাজারমূল্য বাড়বে, কৃষকের আগ্রহ বাড়বে।
বলে মনে করেন তিনি। তখন আবারও যদি কৃষকরা আগ্রহী হন।