রাজশাহীতে ‘হেল্প হেল্প’ বলে ডেকে এক শিক্ষকের ওপর ছুরি হামলা চালানো সেই ছাত্রীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে। মামলার পর বুধবার রাতে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়। বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশে ওই ছাত্রীকে গাজীপুরের কোনাবাড়ীর কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালিয়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ। মামলার বাদী ভুক্তভোগী শিক্ষক মারুফ কারখী (৩৪) জানান, ‘মেয়েটি প্রথমে হেল্প হেল্প বলে চিৎকার করছিল। ভেবেছিলাম বিপদে পড়েছে। তাই থেমেছিলাম। আমি থামা মাত্র সে দৌড়ে এসে ছুরি দিয়ে একাধিকবার আঘাত করে। একপর্যায়ে আমি ছুরি ধরে ফেলি। মুখে মাস্ক থাকায় শুরুতে চিনতে পারিনি।’ রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের সড়কে এ হামলা ঘটে। স্থানীয়রা ছাত্রীটিকে আটক করে পরিবারের কাছে দেয়। পরে পুলিশ হেফাজতে নেয়।
ওই ছাত্রী ক্যান্টনমেন্ট স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। ‘উচ্ছৃঙ্খল আচরণের কারণে’ ২০২৩ সালে তাকে টিসি দেওয়া হয়। বর্তমানে সে শহীদ কর্নেল কাজী এমদাদুল হক পাবলিক স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ছে। ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের এক কর্মকর্তা জানান, টিসি দেওয়ায় ওই শিক্ষার্থীর ক্ষোভ ছিল। নির্দিষ্ট কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে নয়, পুরো স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষোভ থেকে যায়। সুযোগ পেলেই সে হামলা করার চেষ্টা করেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে শিক্ষক মারুফ কারখী তার শিকার হন।