গাজীপুরের বিভিন্ন উপজেলায় আবাদ হয়েছে আগাম শীতকালীন সবজি। এর মধ্যে রয়েছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, বেগুন, মুলা, পালংশাকসহ নানা শাক-সবজি। কৃষকরা এখন সবজি খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। ভালো দাম পাওয়ার আশায় সকাল থেকে সন্ধ্যা জমিতে পড়ে থাকছেন তারা। জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী গাজীপুরে এ বছর ৮৩০০ হেক্টর জমিতে শীতের সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এর মধ্যে সদরে ২৭৪০ হেক্টর, কাপাসিয়া ১১৯০, শ্রীপুরে ১৩৮০, কালিয়াকৈরে ১৫৬০ ও কালীগঞ্জে ১৪৩০ হেক্টর। বিভিন্ন এলাকায় চাষিদের মাঠে ব্যস্ত দেখা গেছে। কেউ চারার পরিচর্যা করছেন আবার কেউ রোপণ করছেন। কেউ আবার করছেন জমি প্রস্তুত কিংবা বীজ বপন। কৃষকরা বলছেন, আগাম শীতের সবজিতে পোকামাকড়ের আক্রমণসহ বিভিন্ন ঝুঁকি থাকে। খরচও হয় বেশি। তারপরও বাজারে ভালো দাম থাকায় লাভ হয় দ্বিগুণ। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো দাম পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রফিকুল ইসলাম খান বলেন, গাজীপুরের মাটি ও আবহাওয়া ফল-সবজি চাষের উপযোগী। বৃষ্টি কমার পর কৃষকরা আগাম শীতকালীন সবজির চারা তৈরি ও আবাদ শুরু করেছেন। ঝুঁকি থাকায় পলিনেট হাউজ বা পলিথিন শেড তৈরি করে কৃষকদের চারা তৈরির কৌশল শিখানো হচ্ছে। সঠিক সময়ে, সঠিক পদ্ধতিতে সুষম সার, জৈব সার এবং কীটনাশক ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে মাঠপর্যায়ে। সরকারের কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন উপজেলার ৪২০০ জনকে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার সরবরাহ করা হয়েছে।
তিনি নিরাপদ সবজি উৎপাদনে গুরুত্বারোপ করেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গাজীপুরে শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হবে আশা করছেন তিনি।