সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ধর্ষণ করতে গিয়ে যুবতীর দায়ের কোপে হাতের কব্জি হারিয়েছে মনিরুল ইসলাম নামে এক লম্পট যুবক।
সোমবার গভীর রাতে উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়নের বয়ড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে, ধর্ষিতার পরিবার ঘটনার পর মামলা না করলেও ধর্ষকের পরিবার তাৎক্ষনিক বিষয়টি পারিবারিক কলহ উল্লেখ করে ধর্ষিতা যুবতীর বাবা ও ভগ্নিপতিকে আসামী করে থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ ওই মামলায় মঙ্গলবার দুপুরে ধর্ষিতার ভগ্নিপতি আরিফকে আটক করেছে।
জানা যায়, উপজেলার বয়ড়া গ্রামের দিনমজুর আলতাব হোসেনের মেয়ে শ্যামলী খাতুনকে (১৭) একই গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মনিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করছিল। এ অবস্থায় সোমবার গভীর রাতে শ্যামলীর শোবার ঘরে ঢুকে মনিরুল তাকে জোরপুর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় শ্যামলী ঘরে থাকা দা দিয়ে কোপ দিলে কব্জি কেটে যায়। পরে শ্যামলীর চিৎকারে আশাপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে মনিরুল পালিয়ে যায়। পরদিন সকালে বখাটে মনিরুলের পরিবার বিষয়টি পারিবারিক কোহলের জের ধরে তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে কব্জি কেটে ফেলা হয়েছে করে থানায় মামলা দায়ের করে।
শ্যামলী খাতুন জানান, ঘটনার পর এলাকার কতিপয় লোকজন তাদেরকে আটকে রেখে মামলা দায়ের করতে বাঁধা দেয়। কিন্তু লম্পট মনিরুল প্রভাবশালী হওয়ায় উল্টো আমাদেরকে ফাঁসাতে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
এব্যাপারে উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) খাজা গোলাম কিবরিয়া জানান, মনিরুলের মামলার ভিত্তিতে শ্যামলীর ভগ্নিপতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার পর মেয়েটির পরিবার থেকে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। শ্যামলীর ভগ্নিপতিকে আটকের পর মেয়েটি থানায় এসে বলছে মনিরুল তাকে উত্যক্ত করত এবং তাকে ধর্ষন করতে গেলে দা দিয়ে কোপ দিলে কব্জি কেটে যায়। এ ঘটনায় শ্যামলীও মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিযোগ দিয়েছে। তদন্তপুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও তিনি জানান।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৭ অক্টোবর ১৫/ সালাহ উদ্দীন