মাগুরা পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী মীর আবু সাঈদকে শুক্রবার (০৬-১১-২০১৫) সন্ধ্যায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে শহরের কৃতি ফুটবলার ও ছাত্রলীগ নেতা চাঞ্চল্যকর রাজন হত্যাসহ ১৮ টি মামলার আসামি।
পুলিশ সুপার একেএম এহসান উল্লাহ জানান, সন্ধ্যায় শহরে মটর শ্রমিক ইউনিয়ন এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসাবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নামে ১৮ টি মামলা আছে।
অভিযোগ রয়েছে, ২০০১ সালে সামান্য অজুহাতে মীর সাঈদের মীর বাহিনী শহরের বেলনগর এলাকায় আরিফ নামে এক যুবকের বাম পা কেটে শহরে প্রদর্শন করে। পরে তা মীর সাঈদের নিজের ইট ভাটায় পোড়ানো হয়। এই ঘটনায় শহরে ব্যাপক আতংক তৈরী হয়। মীর সাঈদের বাহিনী গত বছরের ২৮ অক্টোবর জেলার কৃতি ফুটবলার ও ছাত্রলীগ নেতা রাজনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় তাকে নিয়ে আরো আতংক তৈরী হয়।
একই বছরের ২৯ নভেম্বর মীর সাঈদ ভারতে পালিয়ে যাবার চেষ্টাকালে যশোর বিমান বন্দর থেকে অস্ত্রসহ র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়। কিছুদিনের মধ্যে সে আবার জামিনে মুক্ত হয়। তাকে নিয়ে শহরে মূল আলোচনার মূখ্য বিষয় হচ্ছে খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজীর মত যত ঘটনাই সে ঘটাক প্রতিবারই গ্রেফতারের ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে যায়। স্কুল বয়স থেকে প্রতিটি মামলাতেই সে গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু একইভাবে জামিনে বেরিয়ে এসেছে। এদিকে মীর সাঈদ গ্রেফতারের খবরে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় তার বাহিনীর হাতে খুন রাজনের বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওহাব খান বলেন, ''একাধিক মন্ত্রীর সাথে সখ্য থাকার কারণে ও কালো টাকার জোরে সে বারবার অপরাধ করে পার পেয়ে যাচ্ছে। এটা খুবই কষ্টদায়ক। এবারও হয়ত পার পেয়ে যাবে।''
বিডি-প্রতিদিন/০৬ নভেম্বর ২০১৫/ এস আহমেদ