একাত্তরে মানবতা বিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মো. মুজাহিদের ফাঁসির রায় রিভিউ আবেদনে বহাল থাকায় তার নিজ এলাকা ফরিদপুরের মানুষ আনন্দ-উল্লাস প্রকাশ করেছে। রায় ঘোষণার পর বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ রাস্তায় নেমে এসে আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। রায় ঘোষণার পর সাধারণ মানুষ তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, এ রায়ে তারা খুশি। এ রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে ফরিদপুরবাসী কলংকমুক্ত হয়েছে। অবিলম্বে তারা এ রায় কার্যকরের দাবি জানান।
মুজাহিদের রায় বহাল থাকায় আনন্দ মিছিল বের করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি শহরের রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে বের হয়ে প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়। রায় বহাল থাকায় একে অপরকে মিষ্টি খাওয়াতে দেখা গেছে। এছাড়া ফরিদপুরের আরও দু'জন যুদ্ধাপরাধী বাচ্চু ও খোকন রাজাকারকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকরেরও দাবি জানান তারা।
মুজাহিদের মামলায় অন্যতম সাক্ষী ফরিদপুরের রনজিত দেবনাথ ওরফে বাবু নাথ রায় প্রকাশের পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, আমি আজ সবচে' বেশি খুশি হয়েছি। দ্রুত যাতে এ রায় কার্যকর করা হয় এটাই আমার দাবি। তিনি আরও বলেন, মুজাহিদের মামলার সাক্ষী হওয়ায় আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে ফরিদপুরবাসী আজ কলংকমুক্ত হলো।
নারীনেত্রী আইভি মাসুদ বলেন, আদালত যে রায় দিয়েছে তাতে আমরা খুব খুশি। রায় দ্রুত কার্যকর হবে এটাই আমাদের আশা।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার আবুল ফয়েজ শাহনেওয়াজ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের মধ্যে পাপবোধ কাজ করছে। এ রায়ের পর আমরা পাপমুক্ত হলাম।
এনজিও কর্মী শিপ্রা গোস্বামী বলেন, যুদ্ধাপরাধী মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল থাকায় আমরা ফরিদপুরবাসী আনন্দিত। আমরা দ্রুত এ রায় কার্যকরের দাবি জানাই।
এদিকে, রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের পুলিশকে সবোর্চ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৮ নভেম্বর, ২০১৫/ রশিদা