বগুড়ায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে নুনগোলা ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি নূরুল ইসলাম মিলন (৩৫) হত্যার দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কোনো আসামীকে আজ পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি। ফলে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়ে বাদিপক্ষের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৪ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মিলনকে বগুড়া সদর উপজেলার নুনগোলা ইউনিয়নের ঘোড়াধাপ বন্দর ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে কথা বলার ফাঁকে তাকে ছুরিকাহত করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে মিলনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুমূর্ষ অবস্থায় ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিত্সাধীন অবস্থায় রাত ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। চাঞ্চল্যকর এ হত্যার ঘটনায় পরের দিন ৫ অক্টোবর মিলনের বাবা আব্দুল করিম বাদি হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় হাজরাদিঘি গ্রামের আনসার আলীর ছেলে নুনগোলা ইউনিয়ন ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান, বেলাল হোসেনের ছেলে ছাত্রদল নেতা মামুনুর রশিদ, মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে ছাত্রদল নেতা শরিফুল ইসলাম, সালামত আলীর ছেলে আনসার আলী আকন্দ ও ফজলুর বারীকে আসামী করা হয়। মামলা দায়েরের দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো আসামী গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও আসামী গ্রেফতারের কোনো তত্পরতা লক্ষ্য যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে বাদীপক্ষ।
মামলার বাদি আব্দুল করিম জানান, আসামী ধরার জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝে-মধ্যে টহল দেয়ার কথা শুনেছি। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না। ফলে আসামীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বগুড়া সদর থানার এসআই রাজ্জাক জানান, আসামীরা এলাকায় না থাকায় তাদের গ্রেফতার করা যাচ্ছে না। তাদের দেখামাত্র গ্রেফতার করা হবে। তারপরও প্রায়ই ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আসামীরা যেখানেই অবস্থান কর’ক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/১৮ নভেম্বর ২০১৫/শরীফ