গাজীপুরের কাপাসিয়ার চকবড়হর শেখ পাড়া এলাকায় হামলাকারীদের দায়ের কোপে রোজিনা আক্তার (৪০) নামে এক গৃহকর্ত্রী নিহত হয়েছেন। বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহত হয়েছেন নিহতের স্বামী আমান উল্লাহ সিদ্দিক (৪৮) এবং ছেলে সুমন (২৩)। আহতদের গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের পুত্রবধূ শামীমাসহ ৫ জনকে আটক করেছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে একদল ভাড়াটে মুখোশধারী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বুধবার রাতে কাপাসিয়ার রায়েদ ইউনিয়নের বড়হড় গ্রামের সিদ্দিক শেখের বাড়িতে হামলা করে। এসময় তাদের বাধা দিলে গৃহকর্তাকে রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। পরে তার স্ত্রী রোজিনা আক্তার এবং ছেলে সুমন বাধা দিলে তাদেরকের এলোপাতাড়ি পিটিয়ে এবং কুপিয়ে আহত করে। বাড়ির লোকদের চিৎকার চেঁচামেচিতে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে পালিয়ে যায়। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে গৃহকর্ত্রী রোজিনা আক্তারকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গৃহকর্তা আমান উল্লাহ সিদ্দিক ও তার ছেলে সুমনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
থানা সূত্রে খবর, কাপাসিয়ার রায়েদ ইউনিয়নের বড়হড় গ্রামের সিদ্দিকের ৩ ছেলে। এদের মধ্যে বড় দুই ছেলে কামরুল ও সবুজ সৌদি প্রবাসী। ছোট ছেলে সুমন বাড়িতে থাকে। সুমন ও কামরুলের স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। এক পর্যায়ে শামীমা গর্ভবতী হয়ে পড়লে সম্পর্কের বিষয়টি ধরা পড়ে এবং পারিবারিকভাবে তাদের মধ্যে বিয়ে পড়ানো হয়। বিয়ের পর গর্ভের সন্তান নষ্ট করে শামীমার বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটানো হয়। এ কারণে প্রতিশোধ নিতে শামীমা সন্ত্রাসী ভাড়া করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। হামলাকারীরা সীমানা প্রাচীরের ওপর দিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করেছে। কোনো মালামাল লুট হয়নি।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কাপাসিয়া উপজেলার পেচুরদিয়া এলাকার আলাউদ্দিনের মেয়ে শামীমা, তার মা ও তিন যুবককে আটক করা হয়েছে। হামলাকারীদের ভাড়া করে এনে ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
নিহতের কন্যা শিখা জানান, আটক শামীমা লোক ভাড়া করে তার মাকে হত্যা করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৯ নভেম্বর, ২০১৫/ রশিদা