ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ভাটই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আজ মঙ্গলবার সকালে প্রধান শিক্ষক গোলাম কিবরিয়াকে মারধর করেছে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা শফিউদ্দীন মেম্বর।
এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষকরা মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে বিচার দাবি করেছেন। এ নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোস বিরাজ করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্কুলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক গোলাম কিবরিয়া অভিযোগ করেন, বাংলা পরীক্ষা শুরুর আগে নবম শ্রেণির ছাত্র সাগর আনড্রেসে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে। এসময় দায়িত্বরত শিক্ষক দেবাশিষ কুমার স্কুলের পোশাক পরে আসতে বলে নতুবা প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে আসার জন্য ওই ছাত্রকে বলেন। পরে ওই ছাত্র বিষয়টি তার পিতা দুধসর ইউনিয়নের মেম্বর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শফিউদ্দীনকে জানায়। তিনি স্কুলে এসে প্রধান শিক্ষক গোলাম কিবরিয়াকে ব্যাপক মারধর, সকল শিক্ষক ও ছাত্রদের সামনে গালিগালাজ করেন। এতে শিক্ষকরা অপমানিত হয়ে বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেন।
এদিকে স্কুলের ১২’শ ছাত্রছাত্রীর বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে ভাটই বাজার পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। শফিউদ্দীন মেম্বরের বিচার না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন শিক্ষকরা।
ইউপি মেম্বর ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শফিউদ্দীন শিক্ষক মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, শিক্ষকরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার সেকেন্ড অফিসার এমদাদ হোসেন একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। আওয়ামী লীগ নেতা শফিউদ্দীন মেম্বরের বিচারের দাবিতে শিক্ষকরা পরীক্ষা বর্জন করেছেন। স্কুল শিক্ষক ও আওয়ামী লীগ নেতা শফিউদ্দীন মেম্বরের সাথে বসে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০১ ডিসেম্বর ১৫/ সালাহ উদ্দীন