শিশু অপহণের দায়ে রুমা খাতুন (২০) নামের এক নারীকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক খন্দকার হাসান মোহাম্মদ ফিরোজ আজ মঙ্গলবার দুপুরে তিনি এ রায় দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৫ জুন সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া সেন্ট যোসেফ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির ছাত্রী প্রান্তি রোজারিওকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে শ্রেণিকক্ষ থেকে সাজাপ্রাপ্ত আসামী রুমা অপহরণ করে নিয়ে যায়। পথে বনপাড়া কারিতাস ভবনের সামনে প্রান্তির প্রতিবেশি সোহেল গোমেজ রুমাকে চ্যালেঞ্জ করলে সে আবোলতাবোল কথা বলতে থাকে। এ পর্যায়ে স্বীকার করে যে আলাউদ্দিন, রিনি, মিঠু, শাবু, আরিফ ও জাকির শিশুটিকে অপহরণ করে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য এক লাখ দেয়। পরে রুমাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
ঘটনার দিনই এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিলারিয়াম রোজারিও বড়াইগ্রাম থানায় এজাহার দায়ের করেন। আসামী রুমা খাতুন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মিজানুর রহমানের নিকট স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) সুব্রত কুমার আসামী রুমা খাতুনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় ২০১১ সালের ২৬ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
রুমা খাতুন নাটোরের গুরুদাশপুর উপজেলার মশিন্দা চড়পাড়া গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৯ জানুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন