স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির নির্যাতনে অবশেষে মৃত্যু হলো গৃহবধূ পূর্ণিমার (২০)। ১২ দিন হাসপাতালে যন্ত্রণায় ছটফট করে বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে।
এদিকে যৌতুক না পেয়ে জোরপূর্বক মুখে এসিড ঢেলে তাকে হত্যা করেছে তার স্বামী ও শ্বাশুড়ী এমন অভিযোগ পূর্নিমার পরিবারের।
জানাগেছে, প্রায় দুই বছর পূর্বে দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার বেলোয়া চৌধুরীপাড়ার রবিউল ইসলামের মেয়ে পূর্ণিমার সাথে বগুড়া সদর উপজেলার মাটিডালী হাজীপাড়ার মোহাম্মদ আলীর ছেলে সুমনের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে আদির নামের ৭ মাস বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
গৃহবধূর পারিবারিক সুত্রে জানাগেছে, বিয়ের সময় পূর্ণিমার বাবা যৌতুক হিসেবে সুমনকে নগদ ৮০ হাজার টাকা এবং ৬০ হাজার টাকার আসবাবপত্র দেয়। প্রায় ৩ মাস যাবত সুমন ব্যবসার জন্য শ্বশুরের নিকট আরও ১০ হাজার টাকা দাবি করে। কিন্তু তার শ্বশুর টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সুমন ও তার মা সুলতানা বেগম প্রায়ই পূর্ণিমাকে মারধর করতো। একপর্যায়ে সুমন ও তার মা জোরপূর্বক পূর্ণিমার মুখে এসিড ঢেলে দেয়। এতে পূর্ণিমা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ১৬ জানুয়ারী বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে পূর্ণিমা মারা যায়।
বগুড়া সদর থানার ওসি আবুল বাসার জানান, স্বামীর নির্যাতনে স্ত্রী পূর্ণিমা কয়েকদিন আগে এসিড মিশ্রিত পানি পান করে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান, পুর্ণিমার পেটে এসিড মিশ্রিত পানির কারনে পয়জনিং হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য গৃহবধূ পূর্নিমার স্বামী স্বর্ণের দোকানে কাজ করে। গত ২৫ জানুয়ারী সদর থানায় গৃহবধু নির্যাতনের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছিল গৃহবধূর পিতা।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৯ জানুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন