পিরোজপুরে ৩য় শ্রেণির ছাত্রী ফাতেমা আক্তার ইতিকে ধর্ষণের পর হত্যার অপরাধে দুইজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রবিবার পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. গোলাম কিবরিয়া এ চাঞ্চল্যকর মামলার রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার মেহেদি হাসান স্বপন (২২) ও সুমন জোমাদ্দার (২০)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার ঝাটিবুনিয়া গ্রামের ফুলমিয়ার ৯ বছর বয়সী ফাতেমা আক্তার ইতি উপজেলার বুখাইতলা বান্ধবপাড়া গ্রামে তার নানা মো. আব্দুর রব মাষ্টারের বাড়িতে থেকে স্থানীয় হাতেম আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩য় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। ২০১৪ সালের ৫ অক্টোবর সকালে ইতি তার নানার একটি গরু স্কুল মাঠে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যায়। দুপুর গড়িয়ে গেলেও ইতি ঘরে ফিরে না আসায় নানা বাড়ির লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি শুরু করে। পরদিন দুপুরে প্রতিবেশি শাহজাহান জমাদ্দার বাগানে বিবস্ত্র অবস্থায় ওড়না পেঁচানো ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
ময়নাতদন্তকারী ডাক্তার ননী গোপাল রায় তার রিপোর্টে উল্লেখ করেন, ইতিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ৩১ জানুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা