পকেটে মোটা অংকের টাকা থাকতে পারে এই সন্দেহ থেকেই বাড়ি যাওয়ার পথে কৌশলে ডেকে নিয়ে গিয়ে তিন বন্ধু মিলে অপর বন্ধু ১৩ বছরের সাহেব উদ্দীন ঘুটুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।
পুলিশ আজ সোমবার দুপুরে জলঢাকার কালিগঞ্জ বাজারের কাছে একটি বাঁশঝাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তিন বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে নিহতের বাবা বাদশা মিয়া বাদি হয়ে জলঢাকা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহত সাহেব উদ্দীন ঘুটু জলঢাকা উপজেলার গোলনা ইউনিয়নের পুর্ব কালিগঞ্জ এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে।
বাদশা মিয়া জানান, কালিগঞ্জ বাজারে তিনি ছেলেকে সাথে নিয়ে ঝালমুড়ির দোকান করেন। রবিবার রাত ৮টার দিকে সাহেব উদ্দীন দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় সড়কের ধারে ওৎ পেতে থাকা বন্ধু মনোয়ার হোসেন (১৫) ও সালাউদ্দীন (১৫) মিলিত হয়ে একসঙ্গে যেতে থাকে। সাহেব উদ্দীনের কাছে মোটা অংকের টাকা থাকতে পারে এমন ধারনা থেকে বিড়ি খাওয়ার কথা বলে পাশের ভুট্রা ক্ষেতে নিয়ে যায়। এ সময় মনোয়ার হোসেন ধাক্কা দিয়ে সাহেব উদ্দীনকে মাটতে ফেলে দেয়। অপর বন্ধু সালাউদ্দীন তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে গলা চেপে ধরে পকেটে টাকা আছে কীনা জানতে চায়।
সাহেব উদ্দীন ঘুটুর কাছে টাকা না পেয়ে তারা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পাশের বাঁশঝাড়ে নিয়ে গিয়ে গলায় মাফলার পেচিয়ে বাঁশের সাথে বেধে রেখে ফিরে আসে। পথে অপর বন্ধু টিটুর সাথে তাদের দেখা হলে সে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িয়ে পড়ে।
জলঢাকা থানার পরিদর্শক তদন্ত মফিজ উদ্দীন শেখ জানান, আজ সোমবার দুপুরের দিকে মরদেহ উদ্ধার করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই তিন বন্ধুকে বাড়ি থেকে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু মারুফ হোসেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০১ ফেব্রুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন