ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বালিদাগ্রামে যৌতুকের দাবিতে আয়শা বেগম(২৫) নামের এক গৃহবধূকে মারপিট করে ধারালো বটি দিয়ে তার মাথার চুল কেটে দিয়েছে স্বামী।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে নির্যাতিত গৃহবধূ। দুপুরে স্বামী শাহিনুর(৩০) কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর আগে বলিদাপাড়া গ্রামের সব্দুল বিশ্বাসের ছেলে শাহিনুর বিশ্বাসের সাথে একই গ্রামের আয়ুব নবীর মেয়ে আয়শা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর যৌতুকের দাবিতে স্বামী শাহিনুর প্রায়ই আয়শাকে মারপিট করে আসছে। মেয়ের সুখের কথা ভেবে আয়শার পিতা-মাতা শাহিনুরকে নগদ ১ লাখ টাকা ও ৫০ হাজার টাকার আসবাবপত্র দেয়। এরপরও সে স্ত্রীর দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণলংকার ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। এতেও স্বামী শাহিনুর ক্ষ্যান্ত হয়নি। সোমবার রাত ১১ টার দিকে যৌতুকে দাবিতে স্ত্রী আয়শাকে মারপিট করে। এক পর্যায়ে ধারালো বটি দিয়ে তার মাথার চুল কেটে দেয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে আয়শা খাতুন বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্বামী শাহিনুর কে আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। মামলা নং-৬। মামলা দায়ের পর পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে শাহিনুরকে গ্রেফতার করে।
নির্যাতিত আয়শা বেগম জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্বামী শাহিনুর তাকে যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই মারপিট করতো। দুটি সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে তিনি নীরবে এসব নির্যাতন সহ্য করে গেছেন। সোমবার রাতে তাকে মারপিট করে মাথার চুল কেটে দিয়ে ঘরের মধ্যে আটকিয়ে রাখে। এ সময় তিনি চিৎকার দিলে এলাকাবাসী এসে তাকে উদ্ধার করে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, যৌতুকের দাবিতে আয়শা খাতুন নামের এক গৃহকর্মীকে তার স্বামী মারপিট করে মাথার চুল কেটে দেয়। এ ঘটনায় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। পুলিশ আয়শার স্বামী শাহিনুরকে গ্রেফতার করে জেল-হাজতে সোপর্দ করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন