বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা শাখা যুবলীগ কয়েক বছর ধরে নিষ্কিৃয় হয়ে আছে। রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কোন কার্যক্রম এ দলটির এখন নেই। ১২বছর পূর্বে গঠিত কমিটি এখনো চলছে নামে ডাকে। দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ২ বছর পর পর কমিটি গঠন ও নতুন নেতৃত্ব আসার কথা ঐতিহ্যবাহী এ দলটিতে। ইউনিয়ন কমিটির অনেক নেতা এলাকার বাইরে, কেউ ইহলোক ত্যাগ করেছেন 'ক্রস ফায়ারে'। আর কটা দিন পার হলেই কমিটির বয়স ১ যুগ অতিক্রম করবে তবুও নতুন কমিটি গঠনের কোনো উদ্যোগ নেই।
২০০৩ সালের ডিসেম্বরে সমঝোতায় গঠন করা হয় উপজেলা যুবলীগের কমিটি। এসময় মুশফেকুর রহমান নাহারকে সভাপতি ও এনামুল হক রিপনকে সাধারণ সম্পদক করা হয়। বিভিন্ন কারণে এ কমিটি রাজনৈতিক তৎপরতা বেশিদনি ধরে রাখতে পারেনি। তবে তারা পোস্টপজিশন ছাড়েননি। উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক রিপন কয়েক বছর ধরে অবস্থান করছেন ঢাকায়। সভাপতি মুশফেকুর রহমান নাহার এলাকায় থাকলেও কোনো সাংগঠনিক তত্পরতা দলটির নেই। জাতীয় দিবসগুলোও এখন আর এ দলটি পালন করে না। মূল দলের গ্রুপিংয়ে জড়িয়ে যুবলীগ এখন কাগজ কলমের দলে পরিণত হয়েছে। ফলে তৈরী হচ্ছে না নতুন নেতৃত্ব।
যারা অনেক আগেই ছাত্রলীগ ছেড়েছেন তাদের এখন কোনো জায়গা নেই রাজনীতি করার। ফলে অসন্তোষ জমেছে যুবলীগের ত্যাগী ও সাংগঠনিক নেতাকর্মীদের মনে।
দীর্ঘ এই সময়ে মোরেলগঞ্জ যুবলীগের কমিটি না হওয়ার ৫টি কারণ মিলেছে অনুসন্ধ্যানে। এগুলো হচ্ছে মূল দলের গ্রপিং, পোস্ট পজিশনে থেকে সুবিধা গ্রহণের প্রবনতা, অসাংগঠনিক পন্থায় কমিটি গঠন, জেলা কমিটির নিষ্ক্রিয়তা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের অদূরদর্শীতা। যুবলীগ, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনা করে পাওয়া গেছে এই ৫ কারণ।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে সভাপতি নাহার ও সাধারণ সম্পাদক রিপন উভয়েই বলেন, এখন ব্যস্ত আছি, পরে কথা বলবো।'
বিডি-প্রতিদিন/১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/শরীফ