পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে মন্দিরের পুরোহিত যজ্ঞেশ্বর রায়কে হত্যার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত জেএমবি সদস্য রমজান আলী (২২) স্বীকার করেছে দাবি করেছেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি হুমায়ুন কবির।
এর আগে, গতকাল শনিবার এই তিনজনকে আদালতে হাজির করে ২০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। শুনানি শেষে পঞ্চগড়ের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মার্জিয়া খাতুন প্রত্যেকের ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলায় গ্রেফতার তিন জেএমবি সদস্য হলেন দেবীগঞ্জ শহরের কামাতপাড়া মহল্লার রফিকুল ইসলামের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৫), সুন্দরদীঘি ইউনিয়নের কালীরডাঙ্গা গ্রামের ভ্যান চালক হারেজ আলী (৩২) ও দণ্ডপাল ইউনিয়নের কালীগঞ্জ মসজিদপাড়া গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে রমজান আলী (২২)। এদের মধ্যে রমজনাকে মূল খুনি বলছেন পুলিশ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।
ডিআইজি হুমায়ুন কবির জানান, “রমজান আলী ঘটনার তিনদিন আগে হত্যায় ব্যবহারের অস্ত্রগুলো আলমগীরের বাসায় রাখে। ঘটনার আগেরদিন অস্ত্রগুলো হারেজের গোয়ালঘরে নিয়ে রাখা হয়। ওইদিন রমজানসহ আরেকজন হারেজের বাসায় রাতযাপন করে। এরপর ফজরের নামাজ পড়ে তারা অপারেশনে (ঘটনাস্থলে) যায়। প্রথমেই যে দুজন পুরোহিতের কাছে যায় তাদের মধ্যে রমজানই তাকে (পুরোহিতকে) চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে। সেই (রমজান) পুরোহিতের মূল খুনি।”
ডিআইজি আরও জানান, যজ্ঞেশ্বরকে হত্যার পর খুনিরা একটি বাজারে অপেক্ষায় থাকা হারেজের কাছে অস্ত্রগুলো বুঝিয়ে দেয়। সে সময় তারা হারেজকে বলে, অন্য অপারেশনে যাওয়ার আগে তারা অস্ত্রগুলো নিয়ে যাবে।”
প্রসঙ্গত, গত ২১ ফেব্রুয়রি দেবীগঞ্জের সোনাপোতা গ্রামের সন্তগৌরীয় মঠের অধ্যক্ষ যজ্ঞেশ্বর রায়কে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এসময় তাদের বোমা ও গুলির আঘাতে আহত হন আরও দু'জন। ওই ঘটনায় নিহতের বড় ভাই রবীন্দ্রনাথ দেবীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অন্যদিকে, অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে পুলিশ আরেকটি মামলা করে।
বিডি-প্রতিদিন/২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব