বগুড়ার ধুনটের গোসাইবাড়ি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বাতিল চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করলেন তিনজন মনোনয়ন প্রত্যাশী। আজ বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গোসাইবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাসুদুল হক বাচ্চু। উপস্থিত ছিলেন বগুড়া প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য সাংবাদিক জিয়া শাহীন এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সম্পাদক আশরাফুল কবির বিপুল।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক বিএনপি’র কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। আমরা গভীরভাবে লক্ষ্য করছি যে ধুনটের গোশাইবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে উপজেলা ও জেলা নেতৃবৃন্দ ভেলকীবাজি খেললো। দলের কেউ নয়, কোনোদিন দলের সভা সমাবেশে বক্তৃতা শুনতেও আসেনি। ওয়ার্ড, পাড়া কমিটির কোনো সদস্যও নয়। এমন ব্যক্তি শামছুল বারিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়া হলো।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, অনেকেই মনোনয়ন ফর্ম চাইলে তাদের দেওয়া হয়নি। অথচ দল করে না এমন ব্যক্তিকে ডেকে নিয়ে ফর্ম দেওয়া হয়েছে। এটা অর্থের বিনিময় ছাড়া কি হতে পারে? তা না হলে এলাকায় জনগণের মাঝে যার গ্রহণ যোগ্যতা নেই শুধু টাকা আছে তাকে কেন মনোনয়ন দেয়া হলো। আমরা শুনেছি কাউন্সিলরদের উপজেলা নেতা ফোন করে ওই ব্যক্তিকে ভোট দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেছে।
তারা আরো বলেন, ধুনটের গোশাইবাড়ি ইউনিয়নের একমাত্র গ্রাম জোড়খালি। সেই গ্রামেই শুধু তালিকাভুক্ত অনেকগুলো রাজাকার রয়েছে। পুরো গ্রাম বিএনপি জামায়াতের দখলে। ওই প্রার্থীর আত্মীয়রাও বিএনপি জামায়াত করে। প্রার্থীর বাড়ি ওই জোড়খালি গ্রামে। মনোনয়নের দিন গোশাইবাড়ি ইউনিয়ন ওলামা দলের সভাপতি ও বিএনপির কোষাধ্যক্ষ ফিরোজের নেতৃত্বে মিছিল নিয়ে শামছুল বারি বর্ধিত সভায় আসে
বক্তারা আরো জানান, গতকাল ৮ মার্চ ধুনটের দু’টি ইউনিয়ন চিকাশি ও মথুরাপুরে মনোনয়ন পরিবর্তন করা হলো। অথচ ভোটে ওরা নির্বাচিত হয়েছিল। তারা আওয়ামী লীগের নেতা। তাদেরটা পরিবর্তন করা হলেও যিনি দল কোনোদিনই করেনি তারটি পরিবর্তন করতে এতো অনিহা কেন? কিসের স্বার্থ রয়েছে। আমরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে শামছুল বারির মনোনয়ন বাতিলের দাবী করছি। এবং দলের যোগ্য ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য আবেদন করছি।
বিডি-প্রতিদিন/৯ মার্চ ২০১৬/শরীফ