ঝিনাইদহের শৈলকুপার প্রতাপনগর-মহিষাডাঙ্গা রাস্তার সামাজিক বনায়নের ২০ লাখ টাকার সরকারি গাছ রাতের আধারে কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ নিয়ে প্রশাসনে কোনো উচ্চবাচ্য নেই। পুলিশ একেবারেই নীরব রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, শৈলকুপার আবাইপুর ইউনিয়নে দুই কিলোমিটার রাস্তায় পাঁচ হাজার গাছ ছিল। সেখানে এখন এক হাজার গাছ আছে। বাকী ৪ হাজার গাছ রাতের আধারে কেটে ফেলা হয়েছে। গাছকাটার সঙ্গে প্রশাসনের যোগসাজশ আছে বলে স্থানীয় গ্রামবাসীর অভিযোগ। রাস্তার পাশে অন্তত একশ গাছের শেকড় পড়ে আছে। ধাওড়া গ্রামের মনিরুল ইসলাম জানান, রাতের আধারে যখন গাছ কাটে, বাধা দিতে ভয় পায় এলাকার মানুষ। গাছ কাটার সময় বহুবার পুলিশকে ফোন দেয়া হলেও ব্যস্ততার অজুহাতে পুলিশ আর ঘটনাস্থলে আসেনি। সামাজিক বনায়ন কমিটির সদস্য সিতলী গ্রামের সাঈদ খান জানান, বড় বড় বাবলা, মেহগুনি ও গামারিসহ লাখ লাখ টাকার গাছ কাটার সময় শৈলকুপা থানা পুলিশকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। মহিষাডাঙ্গার রফিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগ দিলেও বনবিভাগ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি, এমনকি তারা দেখার জন্যও আসে না। নাগিরাটের মুক্তার হোসেন জানান, নিচ থেকে শুরু করে উপর মহল পর্যন্ত ম্যানেজ করে সরকারি এই গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে।
প্রতাপ নগরের ইখতিয়ার জানান, গত রাতে গাছ কাটার সময় গ্রামবাসী তাদের ধাওয়া দিলে তারা করাত রেখে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার ওসি মুহিবুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমাকে কেউ ফোন দেয়নি। আমি নতুন এসেছি। হয়তো আগের কোনো ওসিকে ফোন দিতে পারে। এ ব্যাপারে ফরেস্ট অফিসার খাইরুল আলম জানান, রাত ১২টার দিকে ফোন দিলে আমি গ্রামবাসীকে সহায়তা করতে বলি। কিন্তু তারা কেউ আমাকে সহায়তা করেনি। এখন উল্টো আমাকে দোষারোপ করছে।
বিডি-প্রতিদিন/৯ মার্চ ২০১৬/শরীফ