নীলফামারীতে নবম শ্রেণীর এক মাদ্রাসার ছাত্রীকে গণধর্ষণের মূলহোতা মারুফুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার কচুয়া গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়ি হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মারুফুল জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার রনচন্ডী সোনাখুলী গ্রামের বসিন্দা।
জানা যায়, গত বুধবার বিকালে মাদ্রাসা ছুটির পর নানার বাড়ি ফেরার পথে ওই ছাত্রীর সাথে দেখা হয় তার পূর্ব পরিচিত মারুফুল ইসলাম (৩০) নামের এক পিকআপ চালকের। বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার নাম করে মারুফুল মেয়েটিকে পিকআপে তুলে নেয়। তার পিকআপে পূর্ব হতেই অপর দুই যুবক তার যাত্রী হিসাবে ছিল। তারা তিনজন মিলে মেয়েটিকে অবিলের বাজারের অদূরে এক ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। ওই ক্ষেতের পাশ দিয়ে আসা এক পথচারী বিষয়টি দেখতে পেয়ে গ্রামের মানুষকে জানালে মেয়ে পরিবার ও এলাকাবাসী ভুট্টা ক্ষেত থেকে মেয়েটিকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করে। উদ্ধারের পর রাতেই ওই ছাত্রীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় বুধবার মেয়েটির বাবা জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের টটুয়াপাড়া গ্রামের ভটভটি চালক মহির আলী বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
মামলা দায়েরের পর পুলিশ আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযানে নামে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রাতব্যাপী একাধিক অভিযান চালায় পুলিশ। এরপর কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত এক অভিযানে রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার কচুয়া গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়ি হতে গণধর্ষণের মূলহোতাকে গ্রেফতার করা হয়।
কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এ ঘটনার নিশ্চিত করেন।
বিডি-প্রতিদিন/১৮ মার্চ, ২০১৬/মাহবুব