বগুড়ায় দুই শিশু যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। ঘটনা দুটি ধামাচাপা দেবার চেষ্টা হয়েছিল। পরে মামলা দায়েরের পর একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে শেরপুরে তৃতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা এবং দুপচাঁচিয়ায় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে (৯) ধর্ষণ করা হয়।
জানা গেছে, শেরপুর পৌরশহরের বণিকপাড়া এলাকায় তৃতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছে নান্নু মিয়া (২৮) নামের এক পাখি ব্যবসায়ী। তিনি একই এলাকার মহর আলীর ছেলে। আর শিশুটিও একই এলাকার। স্থানীয় টাউন কলোনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার জাতীয় শিশু দিবসে দুপুরের দিকে শিশুটি বাড়ির পাশে রাস্তায় খেলছিল। এ ফাঁকে পাখি ব্যবসায়ী নান্নু কৌশলে ফুসলিয়ে মোটরসাইকেলে তুলে শিশুটিকে তার দোকানে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে দোকানের দরজা বন্ধ করে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় শিশুটি কান্নাকাটি করে। এতে ভয় পেয়ে নান্নু ওই শিশুর হাতে কিছু টাকা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানালে তারা তাকে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নেয়। সেখান থেকে তাকে দ্রুত বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। কিন্তু এলাকার মাতবরদের চাপে ভুক্তভোগীর পরিবার অসুস্থ শিশুটিকে বাড়ি নিয়ে যান। স্থানীয়ভাবে বসে বিষয়টি মিমাংসা করে দেবেন বলে শিশুর বাবা-মাকে জানিয়ে দেন মাতবররা। এ কারণে অসুস্থ শিশুটিকে হাসপাতালে না নিয়ে বাড়িতে রাখা হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে নান্নু পলাতক রয়েছে।
শেরপুর থানার ওসি খান মো. এরফান জানান, এ বিষয়ে রাতে মামলা হয়েছে। পুলিশ ওই ধর্ষক পাখি ব্যবসায়ীকে খুঁজছে।
এদিকে দুপচাঁচিয়ায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী (৯) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক বৃদ্ধ শাজাহান আলী ফকিরকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শিশুটির পরিবার জানায়, বুধবার বিকেলে পাতা কুড়ানোর জন্য তালোড়া খাদ্য গুদামের পাশে যায় শিশুটি। এ সময় ওই গুদামের শ্রমিক কাহালু তানপুরা গ্রামের মৃত আরফান ফকিরের ছেলে শাজাহান আলী ফকির তাকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে শিশুটিকে ফেলে রেখে শাজাহান পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন ঘটনা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
দুপচাঁচিয়া থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে ধর্ষক শাজাহানকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/১৮ মার্চ, ২০১৬/মাহবুব
