পাবনায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী এক প্রার্থী ও তার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তারা আশেপাশের প্রায় ২০টি বাড়িতে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে লস্কর খানের ছেলে সুলতান মাহমুদ খান প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে এলাকায় গণসংযোগ শুরু করলে বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সাঈদের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়। এরই জের ধরে লস্কর শেখ ও বাবু শেখসহ ২০টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যপক ভাংচুর চালিয়ে বসত বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। স্থানীয়রা পাবনা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। পুলিশ প্রশাসনও তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে যায়।
এ ঘটনায় ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। চরমপন্থি অধ্যুষিত এই ভাড়ারা ইউনিয়নে যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সাঈদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও লিটন মোল্লা নামের এক জন ফোন রিসিভ করে বলেন, চেয়ারম্যান সাহেবের ছোট ভাই রফিককে লস্কর উজ্জল ও সুলতান মিলে মারপিট করলে স্থানীয় লোকজন ওইসব বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করলে চেয়ারম্যান গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
এ ব্যাপারে সুলতান মাহমুদ খান বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সাঈদের দুূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকার মানুষ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আমাকে নির্বাচন করার জন্য অনুরোধ করে। এতে আমি সম্মতি দিলেই তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। শুক্রবার সকালে ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে প্রায় ২০টি বাড়িতে আগুন দেয় ৪টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে এবং ২টি দোকান লুট করে। তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে পুরো এলাকা পুরুষ শূন্য হয়ে পড়ে। পরে পুলিশ এলাকায় আসলে লোকজন এলাকায় আসে। বিষয়টি নিয়ে আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/১৮ মার্চ, ২০১৬/মাহবুব