টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের ঘটনায় তিন ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশ। শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে ধর্ষিতার স্বামী বাদি হয়ে ধনবাড়ি থানায় নয়জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। রাতেই গোয়েন্দা পুলিশের সহয়তায় ধনবাড়ি থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধনবাড়ি বাসষ্ট্যান্ড থেকে ঘটনার সাথে জড়িত বাসের চালক হাবিবুর রহমান নয়ন, সুপারভাইজার রেজাউল করিম জুয়েল ও ধনবাড়ি সদর থেকে হেলপার আব্দুল খালেক ভুট্টুকে গ্রেফতার করে। পুলিশ বাসটি আটক করেছে।
ধর্ষিতার স্বামী বখতিয়ার জানান, বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) গাজীপুর থেকে তার স্ত্রী খালার বাড়ি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী দত্তপাড়া বেড়াতে আসে। পরে শুক্রবার সকালে গাজীপুরের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য ধনবাড়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে টিকিট কেটে বিনিময় পরিবহনের একটি বাসে ওঠে। এসময় বাসটির চালক ও চার স্টাফ তাকে একাই নিয়ে রওনা হয়। পরে বাসটি গন্তব্যে না গিয়ে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের দিকে যেতে থাকে। এতে গৃহবধূ জিজ্ঞেস করলে বাসের স্টাফরা তাকে মারধর ও সব জানালা-গেট বন্ধ করে দিয়ে তার হাত-পা ও মুখ বেধে ফেলে। পরে একে একে বাসের চালকসহ তিনজন তাকে গণধর্ষন করে বাস থেকে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। খবর পেয়ে তার স্বামী বখতিয়ার স্ত্রীকে উদ্ধার করে দুপুরে এ ঘটনার বিচারের দাবিতে টাঙ্গাইল শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয়ে গেলে সেখানে ধর্ষকরা সবাই উপস্থিত ছিল। এ ঘটনার মিমাংসা করার জন্য ৬ এপ্রিল দিন ঠিক করে শ্রমিক নেতারা। পরে স্বামী গৃহবধূকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. রেহেনা পারভীন জানান, গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্ট আজকেই পাওয়া যাবে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর জানান, এ ঘটনায় নয়জনকে আসামি করে রাতে মামলা হয়েছে। ধর্ষণের সাথে সরাসরি জড়িত তিনজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের সহযোগীদেরও গ্রেফতারের প্রস্তুতি চলছে।
ধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত তিনজন শ্রমিককেই টাঙ্গাইল জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন থেকে বহিস্কার করা হয়েছে বলে জানান জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মীর লুৎফর রহমান লালজু।
বিডি-প্রতিদিন/০২ এপ্রিল ২০১৬/ এস আহমেদ