নোয়াখালীতে আ.লীগ নেতার ছেলের গুলিতে ছাত্রলীগ নেতাসহ তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুদ্ধ জনতা।
এ সময় মাইজদী-চৌমুহনী সড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। এতে ঢাকা, চট্টগ্রাম সহ দূরপাল্লার যাত্রীদেরকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
সোমবার দুপুরে মাইজদী বাজার থেকে এলাকাবাসীর ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলকারীরা বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ফেস্টুন এবং হাতে লাঠি নিয়ে মাইজদী-চৌমুহনী সড়কের বিভিন্ন স্থানে টায়ারে আগুন ও গাছের গুড়ি ফেলে প্রতিবাদ জানায়। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক বদরে মুনির ফেরদৌস ও পুলিশ সুপার ইলিয়াছ শরীফ ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যাকারীদেরকে দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে যানবাহণ চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত ২১ মার্চ গত নোয়াখালী জেলা শহরের পুরাতন কলেজ সংলগ্ন অনন্তপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কুদরত উল্লার ছেলে ওমর ফারুক সাজুর গুলিতে ছাত্রলীগের সদস্য সাইফুল ইসলাম ওয়াসিম (২৪), ফজলে হুদা রাজিব (২২) ও জামসেদুল হক ইয়াছিন (২৩) নিহত হয়।
এ ঘটনায় ২২ মার্চ মঙ্গলবার রাতে নিহত রাজিবের মা কামরুন নাহার ছবি বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় ওমর ফারুক সাজুসহ ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৭-৮ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) গোলাম ফারুক বলেন, আসামীরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে পুলিশ তাদের গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ঘটনার পর দিন সাজুর দুই বোন মুন্নি ও ফারজানাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৮ এপ্রিল ১৬/ সালাহ উদ্দীন