চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ায় যাত্রীবাহি ইউনিক পরিবহণের একটি বাসের সাথে ম্যাজিক গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে মা-মেয়েসহ ৫ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুসহ আরো ৯ জন আহত হয়েছে। আজ সকাল ১১টার দিকে ফাঁসিয়াখালী সেনা ক্যাম্পের নিকটবর্তী সেগুন বাগান এলাকায় মর্মান্তিক এই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- চকরিয়ার ডুলাহাজারাস্থ ছগিরশাহ কাটার বাহাদুর আলমের স্ত্রী নুরুন নাহার (৪২), তার মেয়ে নুর আয়শা বেগম (১২), রংমহল এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে তারেক জিয়া (১৮), সাহারবিলের মাইজঘোনার আহাদুল করিম (১৮) ও কুতুবদিয়া উপজেলার সিকদার পাড়ার মৃত মিয়া আজমের ছেলে আবু ছৈয়দ (৬০)।
নিহত ৫ জনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.জামাল হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন, চকরিয়ার কাকারা ইউনিয়নের মারুফ হোসেনের স্ত্রী সানজিদা খানম (৩০), তার ৬ মাস বয়সি ছেলে আবদুল্লাহ, ডুলাহাজারার পূর্ব ডুমখালীর গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৩০), তার ১বছর বয়সি শিশু মেয়ে জন্নাতুল মাওয়া, মালুমঘাট চা-বাগান এলাকার মৃত আমির আলীর ছেলে আবদুল মতলব (৫৫), সোয়াজানিয়া এলাকার কামাল হোসেনের স্ত্রী পারভিন আক্তার (৩০), সাহারবিলের বাটাখালী এলাকার হাজী আহমদ কবিরের ছেলে কপিল উদ্দিন (৪৫), লামা উপজেলার হায়দারনাশী এলাকার মৌলভী জকরিয়ার মেয়ে তাসকিনা বেগম (১৮), মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়ার আবু ছিদ্দিকের স্ত্রী মোরশিদা বেগম (৩৫)।
আহতদের মধ্যে মুমূর্ষ অবস্থায় চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, তিনজনকে মালুমঘাট মেমোরিয়াল খৃষ্ট্রান হাসপাতাল ও দুইজনকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
চকরিয়া হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সহকারী মেডিকেল অফিসার রশিদুন্নবী বলেন, রেফার করা আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা সংকটাপন্ন। অন্যরা ঝুঁকিমুক্ত।
মুঠোফোনে বাস চালকের কথা বলার জন্যই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ বাস যাত্রীদের।
হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জামাল উদ্দিন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট আনোয়ার হোসেন বলেন, দুর্ঘটনায় গাড়ি দুটি জব্দ করা হলেও চালক পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৩ মে, ২০১৬/ হিমেল-২৪