দুর্বৃত্তের আঘাতে সাতদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন জয়পুরহাটের সদর উপজেলার ভাদশা ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। রবিবার সকালে ঢাকার পপুলার ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
গত ৪ জুন রাতে দুর্বৃত্তরা তার বাড়ির অদূরে গুলি করে ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাকে এবং তার প্রতিবেশী নয়নকে মারাত্বক আহত করে। প্রথমে তাদের জযপুরহাট জেলা হাসপাতালে, পরে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার মহাখালী মেট্রোপলিটন মেডিকেল সেন্টার ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। কিডনিতে গুলি লাগায় সর্বশেষ গত শুক্রবার পপুলার ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড হাসপাতালে ডায়ালাইসিস করার জন্য ভর্তি করা হয়েছিল। আবুল কালাম আজাদ কোচকুড়ি গ্রামের মৃত ইসহাক আলী এবং নয়ন একই গ্রামের মৃত অজিদ কুমারের পুত্র। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ নয়ন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহতের ছোটভাই এনামুল হক ঘটনার পরদিন ছয়জনের নামোল্লেখপূর্বক ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, জয়পুহাট সদরের ভগবানপুর গ্রামের সৈকত হোসেন এবং কান্দি গ্রামের হাকিম মন্ডল নামের দুইজনকে আটক করেছে এবং তারা এ হত্যার সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার কথা আদালতে স্বীকার করেছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আবুল কালাম আজাদ গত ৩১ মার্চ ২য় দফা নির্বাচনে সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টিতে আওয়ামী লীগ এবং একমাত্র সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনিই নির্বাচিত হয়েছিলেন। সোমবার সকালে তার গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফন করা হবে বলে ছোট ভাই এনামুল হক জানান।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ