সাত বছর আগে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে নিমাই চন্দ্র বর্মন এক ব্যক্তিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে নিহতের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ এম এ নূর আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত নিমাই চন্দ্র বর্মন পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বার আউলিয়া এলাকার অনিল চন্দ্র বর্মণের ছেলে।
মামলার এজহার থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালের ১৩ অগাস্ট দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার এলাকার করুণা কান্ত রায়ের মেয়ে সোনালী রাণী সম্পার সঙ্গে আটোয়ারী উপজেলার বার আউলিয়ায় নিমাই চন্দ্র বর্মণের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী নিমাই দুই লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে প্রায় সম্পাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। এর ধারাবাহিকতায় ২০১২ সালের ১২ নভেম্বর সম্পাকে হত্যার পর লাশ বাড়ির পাশে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
এ ঘটনায় করুণা কান্ত রায় মেয়ের স্বামী, শ্বশুর, শ্বাশুড়ি ও ননদসহ ছয় জনকে আসামি করে আটোয়ারী থানায় মামলা করেন সম্পার বাবা। তদন্ত শেষে পরের বছর পুলিশ স্বামী, শ্বশুর, শ্বাশুড়ি ও ননদকে আসামি করে ২০১৩ সালের ২৫ মার্চ অভিযোগ পত্র দেয়। এরপর আজ সোমবার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত নিমাই চন্দ্রকে দোষী সাব্যস্ত করে তার বাবা অনিল চন্দ্র বর্মণ, মা রোমা বালা ও বোন বিউটি রাণীকে খালাস দিয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/১৩ জুন ২০১৬/মাহবুব