ডোম না থাকায় নড়াইলে গত বুধবার রাতে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় মারা যাওয়া তিন মাদরাসা ছাত্রের ময়নাতদন্ত হয়নি এখনও। আজ শুক্রবারও হবে কিনা তা বলতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে নেই লাশ রাখার হিমঘরও।
এদিকে, নিহতদের পরিবারের লোকজন উদভ্রান্তের মতো হাসপাতাল চত্বরে ডোমের খোঁজ করে বেড়াচ্ছেন। লাশ নিয়ে বাড়ি যাওয়ার জন্য তারা ব্যাকুল।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ফকির মো. মনিরুজ্জামান জানান, হাসপাতালে মাত্র একজন ডোম। তিনি নড়াইলের বাইরে থাকায় ময়নাতদন্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি খুলনায় তার নিজ বাড়িতে গেছেন।
ডোম আজগর আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ছুটি নিয়ে ঢাকায় এসেছি ব্যক্তিগত কাজে।
এর আগে বুধবার রাতে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় ওই তিন ছাত্র মারা যায়। মাদরাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শাপলা এবং পুঁইশাকের দুই প্রকার তরকারি খেয়ে ছাত্ররা অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থদের ছাত্রদের প্রথমে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সবাইকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর আগে এক ছাত্রকে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দু'জন পথিমধ্যে মারা যান।
এদিকে ডোম না থাকায় লাশের ময়নাতদন্তের কোনো ব্যবস্থা না করেই হাসপাতালের সুপার চাকরিস্থল ত্যাগ করেন।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. তারেক মোহাম্মদ শফি জানান, ডোম না থাকলে পার্শ্ববর্তী জেলা যশোরেও ময়নাতদন্ত করা যেত।
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এ রকম একটি স্পর্শকাতর বিষয় ফেলে রেখে হাসপাতালের সুপার স্টেশন লিভ করতে পারেন না।
নড়াইল সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আসাদুজ্জামন মুন্সী এই ব্যাপারে জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে লাশের ব্যাপারে সদর হাসপাতালের অফিসিয়ালি রিপোর্ট পেয়েছি । ওদিকে ডোম না থাকায় ময়নাতদন্ত করা যাচ্ছে না। হাসপাতালে হিমঘর না থাকায় নিহতদের পরিবারের লোকদের সঙ্গে আলোচনা করে বিশেষ ব্যবস্থায় লাশগুলো রাখা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ